আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দেশের যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘আজকাল প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধের খবর প্রচারিত হয়। এতে অনেক যুবকের ভবিষ্যত নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সমাজে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ ব্যাপারে যুবসমাজকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
রাজধানীর ওসমানী অডিটরিয়ামে ‘জাতীয় যুব দিবস-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘যুবদের উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
যুবদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, “শুধু নিজে ভালো থাকলে চলবে না- অন্যরাও যাতে ভালো থাকে সে চেষ্টাও করতে হবে।” তিনি মাতা-পিতা এবং অভিভাবকদেরও তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা যাতে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার উপদেশ দেন।
দেশের যুবসমাজকে অমিত সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ২০৪১ সালে দেশকে সুখী-সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করতে, দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে যুবসমাজকে অগ্রসৈনিক হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে অব্যাহত উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই... আর যুবসমাজ এ ক্ষেত্রে অগ্রসৈনিক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
রাষ্ট্রপতি যুবসমাজকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার কাজে আত্ম নিয়োগ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
আবদুল হামিদ বলেন, সম্ভাবনার পাশাপাশি যুব সমাজের সামনে চ্যালেঞ্জও অনেক। এ ছাড়া দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কর্মসংস্থানের অভাব, অপরাধ ও সহিংসতা সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার জন্ম দেয়।
তিনি বলেন, যাবতীয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, কর্মসম্পাদনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি সুযোগকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে যুব উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের অমিত সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে অবশ্যই উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন বিজ্ঞানমনস্ক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে, এমনকি কোভিড- ১৯ এর প্রাক্কালে যুবসমাজের সাহসিকতাপূর্ণ কার্যক্রমের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে যুবসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘আগামীদিনে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে সে বিষয়ে আমার গভীর আস্থা রয়েছে। যুবদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সাহসিকতা আমাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখায়। আমার বিশ্বাস সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে তাদের ধ্যান-ধারণা ও আগ্রহ অন্যদেরও শক্তি যোগাবে এবং দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ -বাসস
-এএ