আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কওমি শিক্ষার্থীদের ইলমি বিষয়ে ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে একাগ্রতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাজীবনে একাগ্রতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়কে প্রতিবন্ধক হিসেবে মনে করা হয় পত্রিকা পাঠ সেসবের অন্তর্ভুক্ত হয় কিনা, এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন শিক্ষার্থী। মাসিক আল কাউসার-এর সৌজন্যে সেই প্রশ্ন ও উত্তরটি তুলে ধরা হলো আওয়া ইসলামের পাঠকদের জন্য।
প্রশ্ন: ছাত্র জীবনে পত্রিকা পড়া কেমন? যদি ভাল না হয় তাহলে কেন?
উত্তর:
একজন তালিবে ইলমকে সবধরনের ব্যস্ততা ও প্রতিবন্ধকতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে একাগ্রতার সাথে ইলম চর্চায় নিজেকে ওয়াকফ করে দিতে হয়। এছাড়া দ্বীনের সঠিক বুঝ ও ইলমের দৃঢ়তা অর্জনের আশা করা যায় না। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত, তেলাওয়াত এবং কিছু নাওয়াফেল ও আওরাদ আদায়ের পর দরস, মুতালাআ ও তামরীন এসব ইলমী কাজে সবসময় মশগুল থাকতে হয়। এছাড়া প্রয়োজনীয় ‘ইযাফী মুতালাআ’ও জারি রাখতে হয়।
এসব ইলমী কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। মনোযোগ ও আত্মনিবেদনের প্রয়োজন। এরপর আবার পত্র-পত্রিকা দেখার সুযোগ হবে কীভাবে? সংবাদপত্র দেখার অভ্যাস তো তার ইলমী নিমগ্নতা ও অভিনিবেশকে বিঘ্নিত করবে। অধিকন্তু সংবাদপত্র পাঠ তালিবে ইলমের প্রয়োজনের আওতায় আসে না। এসব কারণে ছাত্রজীবনে তালিবে ইলমকে প্রচলিত সংবাদপত্র দেখতে আকাবির সবসময় নিষেধ করেছেন।
এরপর কর্মজীবনে যখন কারও পত্র-পত্রিকা দেখার প্রয়োজন হবে তখন যথাযথ উসূল ও আদব রক্ষা করেই পত্রিকা দেখা উচিত। কারণ প্রচলিত সংবাদপত্র তো শরয়ী উসূল অনুসরণ করে ছাপা হয় না এবং এতে পরিবেশিত সবকিছু প্রয়োজনের আওতায় পড়ে না।
এনটি