সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ফিলিস্তিনের ইতিহাস জানতে চান? পড়ুন মাকতাবাতুত তাকওয়ার এ বইটি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ফিলিস্তিন। ইয়াহুদি দখলদারিত্বের শৃংখলে আবদ্ধ মজলুম ভূখণ্ড। ধর্মের অপব্যাখ্যা, বিশ্ব মোড়লদের অন্যায় সহযোগিতা, আর কিছু পদলেহী মুসলিম শাসকের কূটচালে ফিলিস্তিন আজ অবরুদ্ধ। মসজিদুল আকসা আমাদের থেকে নির্বাসিত। অথচ এই পবিত্র ভূমিতে শত শত আম্বিয়া আ. দের আগমন ঘটেছে।

ইবরাহিম. এর মাধ্যমে এই ভূখণ্ডে তাওহীদের ঝাণ্ডা প্রথিত হয়েছিল। একে একে লূত, ইয়াকুব, দাউদ, সুলাইমান, ইউশা, মূসা, হারুন ও ইসা আ. সহ অসংখ্য নবি ফিলিস্তিনের ভূমিকে তাওহিদের ধারায় সিক্ত করেছেন।

[caption id="" align="aligncenter" width="425"]May be an image of text বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।[/caption]

তারপর আমাদের প্রিয় নবির নবুওয়াতের রৌশনিতে শাম আলোকিত হল। বাইতুল মাকদিস হল মুসলমানদের প্রথম কেবলা। ফিলিস্তিনের সাথে উম্মতে মুহাম্মদির ভালবাসা সেখান থেকেই শুরু। খলিফা উমর রা. নিজে উপস্থিত থেকে বাইতুল মাকদিসকে রোমান অধীনস্থতা থেকে মুক্ত করলেন। আমাদের ফিলিস্তিন আমাদের কাছে ফিরে এল।

কালের পরিক্রমায় উম্মাতে মুহাম্মদির আমলে ত্রুটি দেখা দিল, জি হা দি জযবায় ভাটা পড়লো, শাসকরা ক্ষমতার মোহে বুঁদ হয়ে রইল। এই সুযোগে ক্রুসেড বাহিনী সংঘবদ্ধ হয়ে প্রবল আক্রমণ করে কুদসকে পর্যদুস্ত করে ফেলল, আমাদের আকসাকে আবার দখল করে নিল। ইমাদুদ্দীন যিনকি, নুরুদ্দিন যিনকি রাহ. কুদস পুনরুদ্ধারে অবিরাম জি হা দ চালিয়ে গেলেন। উম্মাতের মধ্যে কুদস বিজয়ের প্রেরণা প্রথিত করলেন।

অবশেষে শতবছর পর সালাহুদ্দিন আইয়ুবি রাহ. ক্রুসেডারদের দখল থেকে কুদস মুক্ত করে আনলেন। আমাদের কুদস পুনরায় আমাদের কাছে। ১৯১৭ সনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যেবাদীরা ফিলিস্তিন দখল করে নিল। শুরু হল, উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বিরোধী প্রবল আন্দোলন।

[caption id="" align="aligncenter" width="428"]May be an image of text বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।[/caption]

অবশেষে ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশরা উপনিবেশ গুটিয়ে নিল ঠিক, কিন্তু যাবার আগে ফিলিস্তিনের বুকে মরণ কামড় দেয়ার জন্য কালসাপ ইজরাইলকে ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে গেল। শুরু হল ফিলিস্তিনিদের সংগ্রাম।

একদিকে সমগ্র কুফর শক্তি ঐক্যবদ্ধ, ইজরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যের বুকে পাহারায় বসাতে হবে। অন্যদিকে উলামা, তালাবা, মুজাহিদিন ও দেশপ্রেমী মুসলমানরা শুরু করলো ইন্তেফাদা। জান দিয়ে দিব, তবু এ ভূখণ্ড ইয়াহুদিদের গ্রাসে পরিণত হতে দিব না। একে একে তিনটি ইন্তেফাদা হয়ে গেল। অসংখ্য প্রাণ ঝরল, বহু মায়ের বুক খালি হল। কিন্তু ফিলিস্তিনকে তারা বেদখল হতে দেয়নি। ইখওয়ান, হামাস, ফাতাহর অসংখ্য কর্মী শহীদ হলেন, বন্দীত্ব বরণ করলেন। তবুও ফিলিস্তিনের ব্যাপারে তারা কোনো আপোষ করেন নি। আসলে চুক্তির মাধ্যমে ইয়াসির আরাফাত ফিলিস্তিন ইজরাইল শান্তি প্রক্রিয়ায় সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু আসলেই কি তাই ফিলিস্তিনিদের শান্তি ফিরিয়ে এনেছে?

[caption id="" align="aligncenter" width="437"]May be an image of text বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।[/caption]

পাঠক! ফিলিস্তিনের এই আদি থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত ইতিহাসকে বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে মলাটবদ্ধ করা হয়েছে। অসংখ্য প্রশ্ন, সংশয় আর সত্যকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সুতরাং কুদসের ভূমিতে আপনাকে স্বাগতম।

মূল : ড. মুহসিন মোহাম্মদ সালেহ
অনুবাদক : মাওলানা শামসুল ইসলাম
মুদ্রিত মূল্য:380টাকা।
50% ডিসকাউন্ট
প্রকাশনায় : মাকতাবাতুত তাকওয়া
যোগাযোগ: 01780-752718

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ