জুলফিকার জাহিদ।।
আল-কামাশা। মদিনা মদীনা মুনাওয়ারায় অবস্থিত পুরাতন ও গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোর একটি। একে সৌদি পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়। বাজারটিকে 'সুওয়াইকাত বাজার'ও বলা হয়।
[caption id="attachment_231117" align="alignnone" width="500"] মসজিদে নববীর পশ্চিমে অবস্থিত আল- কামাশা বাজার।[/caption]
এক সময় রমজান, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দিন ছাড়াও সাধারণ দিনগুলোতেও ক্রেতা ও পথচারীদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল বাজারটি। অনেকের কাছে এটি আল-কামাশা বাজার নামেও পরিচিত ছিল।
সৌদি সংবাদমাধ্যম এসপিআই-এর খবর অনুযায়ী,সুওয়াইকাত বা আল-কামাশা বাজার মসজিদে নববীর পশ্চিমে অবস্থিত। এক সময় বাজারটির সীমানার শুরু ছিল মসজিদে নববীর বাবুস সালাম থেকে। এবং তা মসজিদুল গামামাহর বাজার আল হাবাবার বাবুল মিশর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
সুওয়াইকাত বাজারে কাপড়, সোনা গয়না, দেশি ঔষধ ইত্যাদির দোকান প্রসিদ্ধ চিল। বেশিভাগ দোকানে কাপড় ক্রয়-বিক্রয় করা হতো।
[caption id="attachment_231115" align="alignnone" width="500"] আল-কামাশা বাজারে বেশিভাগ দোকানে কাপড় ক্রয়-বিক্রয় করা হতো।[/caption]
প্রায় ৪৬ বছর পূর্বে ১৩৯৭ হিজরীতে বাজারটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো বাজার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুধু আল-কামাশা বাজার নয় বরং আশপাশের বেশ কিছু ঘর-বাড়িও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর মদীনা মুনাওয়ারার অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ বন্ধ হয়ে যায়।
কিছু ঐতিহাসিক এর মতে আল-কামাশা, সুওয়াইকাত বাজার ৪৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে টিকে ছিল।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী রহ. তার প্রসিদ্ধ কিতাব ‘জাজবুল কুলুব ইলা দিয়ারিল মাহবুব’-এ এই সম্পর্কে লিখেছেন, মদীনা মুনাওয়ারার সবথেকে বড় রাস্তাটিকে আল আইনিয়াহ বলা হয়,যেখানে আল-কামাশা বাজার অবস্থিত।
কয়েক মাস পূর্বে আল আইনিয়াহ ও সুওয়াইকাত বাজার প্রজেক্ট আবার চালু করা উদ্বোধন করা হয়েছে। একে বর্তমানে মদিনার নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের অন্যতম অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই প্রকল্পকে 'নিমাল মুনাওয়ারা' নাম দেওয়া হয়েছে।
[caption id="attachment_231116" align="alignnone" width="500"] প্রায় ৪৬ বছর পূর্বে বাজারটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।[/caption]
‘নিমাল মুনাওয়ারা'প্রজেক্ট এর মাধ্যমে মদীনা মুনাওওয়ারার ওইসব পুরাতন বাজারকে পুনর্বাসনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যেগুলো বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ধ্বংস হয়ে গেছে। এই পুরনো বাজারগুলোকে আধুনিক ও প্রাচীন সরঞ্জামের সমন্বয়ে পুনরায় চালুর উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে।
এনটি