মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মাদারীপুরে ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’ পোড়ালেন ছাত্র-জনতা ইউপি সদস্যকে হত্যা করতে এসে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ৩ চিন্ময়কে মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপির পিটিআইয়ের সমাবেশ ঠেকাতে পাকিস্তানে নামানো হলো সেনাবাহিনী ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ ঘোষণা করল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সৌদির সেবা কোম্পানির সঙ্গে হজ এজেন্সির চুক্তির নির্দেশনা মহেশখালী থানার বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১১ জন আসামি গ্রেফতার বৃষ্টির সময় কাবা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় ওমরা পালনকারীদের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট গ্রাহকদের মূলধন ফেরত পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মাওলানা আতহার আলীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ইতিহাস রচিত হতে পারে না: ধর্ম উপদেষ্টা

দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটির ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের কাছে বরখাস্তের চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেন।

বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি জানিয়েছেন, ‘এ বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে গণমাধ্যমকে জানাব। তার আগে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।’

চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা হলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মতিন, নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কমল ও জহিরুল ইসলাম, চিফ অ্যাসেসর মো. আজম, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রোমেল, হিসাবরক্ষক মো. মাইনুদ্দিন, সম্পত্তি শাখার অ্যাস্টেট অফিসার মাহাবুবুর রহমান শাকিল, আইন সহকারী রফিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী আব্দুস সালাম ও হায়তুল ইসলাম। ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের চিঠিতে বরখাস্তের কারণ উল্লেখ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন চাকরিচ্যুতরা।

চাকরিচ্যুত হওয়া বিসিসির পানি শাখার হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের একজন লোক বাসায় এসে বরখাস্তের চিঠি দিয়ে গেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, তিন মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা আমি পাইনি। তাছাড়া সিটি করপোরেশনের কাছে ১৫ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’

২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে এই ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী ওএসডি ছিলেন। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট চতুর্থ পরিষদের নবম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন মাসের বেতন পরিশোধপূর্বক ১২ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগে বিসিসির প্রধান বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমানকে উৎকোচ গ্রহণ ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ঠিকাদারকে বিল প্রদান, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট আজিজ শাহীনকে নামে-বেনামে স্বজনদের বিপরীতে করপোরেশনের স্টল বরাদ্দ দেওয়া, একই অভিযোগে বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে বিসিসির রাস্তা খুঁড়তে সহায়তা করায় উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

এ নিয়ে গত দুই বছরে দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে চাকরি হারালেন ১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ