আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সাভারে যৌতুক না নিয়ে নাতনিকে দেখতে আসায় স্ত্রীর নানা ও মামাকে হাত বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জামাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আঁটক করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বছরখানেক আগে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের সাধাপুর কাজীপাড়া গ্রামের বসির মহাজনের ছেলে আবুল কালাম-এর সঙ্গে সিংগাইর উপজেলার খাসেরচর গ্রামের আবুল হোসেন-এর কন্যা সোনিয়া আক্তার-এর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে সোনিয়া ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সোনিয়ার মামা জানান, বিয়ের দেড় মাস পর ভাগনির অন্য ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে- এমন মিথ্যা অপবাদ দিতে শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে আমরা আমাদের ভাগনিকে আমাদের বাড়ি নিয়ে এসে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেই। পরে এলাকাবাসী ও সোনিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অনুরোধে তাকে আবার শ্বশুরবাড়িতে পাঠাই। এরপর থেকে ভাগনির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। সোনিয়া ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় গত মঙ্গলবার আমার বাবা ও আমার ফুফাতো ভাই ভাগনিকে আনতে যান। এরপর তাদের পাইপের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। মারধর শেষে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা কেড়ে নেয় তারা। তারপর অন্য একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে আবারও মারধর করে হত্যার চেষ্টা করে ও গুম করার পরিকল্পনা করে। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে ৯৯৯ নাইনে ফোন করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল ঝড় তোলে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, বসির মহাজন ও তার ছেলে আবুল কালাম এলাকায় নানান অপরাধমূলক কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পান না-কারণ তারা প্রভাবশালী।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি মাইনুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান বৃহস্পতিবার সকালে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বশির মহাজন ও আবুল কালামকে আটক করা হয়েছে।
এমডব্লিউ/