সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত সৌদি আরবের ঐতিহাসিক ৬ স্থান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জুলফিকার জাহিদ।।

সৌদি আরবের জাতীয় সাংস্কৃতিক রক্ষা পরিষদের প্রচেষ্টায় দেশটিতে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থানগুলো বিশ্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবে অবস্থিত ঐতিহাসিক ৬ স্থানকে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

এই ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক জায়গাগুলো পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এবং তা সৌদি সংস্কৃতি ও পর্যটনের খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইউনেস্কো যেসব স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে তার মধ্যে একটি হলো মদীনা মুনাওয়ারার আল আলায় অবস্থিত মদিনাতুল হাজার।

২০০৮ সালে ইউনেস্কো এই স্থানটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করে। মদিনাতুল হাজার স্থানটি সৌদি আরবে প্রথম এমন জায়গা যাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০১০ সালে আদ-দারিয়ায় অবস্থিত আত তায়িফ কলোনিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পনেরশো শতাব্দীতে কলোনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আরব উপদ্বীপে এই কলোনিতে নজদী প্রত্নতত্ত্ব ও স্থাপত্য শৈলীতে ভরপুর।

২০১৪ সালে জেদ্দা শহরের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতির গুরুত্ব বিবেচনায় শহরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেস্কো। জেদ্দা শহরকে ইসলাম-পূর্ব পুরাতন ঐতিহাসিক শহরগুলোর মধ্যে গণ্য করা হয়। পৃথিবীব্যাপী ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে পড়ার পর এই শহরটির গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান বিন আফফান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মক্কা মুকাররমার বন্দরগাহের জন্য জেদ্দা শহরকে নির্বাচন করেন।

সৌদি আরবের যে ৬ টি ঐতিহাসিক জায়গাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউনেস্কো  তার মধ্যে হায়েল গভর্নর এলাকায় অবস্থিত যাব্বা ওয়ারাতা এবং আল মানজুর অন্তর্ভুক্ত। এর ইতিহাস খ্রিস্টীয় ১০ হাজার বছরের পুরনো। এই জায়গাটিতে পাথরের শিলালিপিতে বিভিন্ন ধরনের নকশা রয়েছে। ২০১৫ সালে ইউনেস্কো এই জায়গাটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্ত করে।

সৌদি আরবে বিশ্বের সবথেকে বড় খেজুরের বাগান রয়েছে।যেখানে তিন মিলিয়নের বেশি খেজুর ধরে। ২০১৪ সালে ইউনেস্কো একে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করে।

 

সাম্প্রতিক সময়ে ইউনেস্কো সৌদি আরবের নাজরানে অবস্থিত হামি শৈল্পিক এলাকাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করে। সেখানে ৬ টি কূপ রয়েছে। যেগুলো পাহাড় ও পাথরে মাঝে অবস্থিত। অতীতের আরব ব্যবসায়ীদের কাফেলা ব্যবসার সফরে যাওয়ার সময় এগুলো ব্যবহার করতেন। এখানে পাথরের উপর শিলালিপিতে বিভিন্ন ধরনের নকশা ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন অক্ষরে লেখা রয়েছে। কূপ ছাড়াও এখানে ঐতিহাসিক আরো ১৩ টি বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে।

আরো পড়ুন: সৌদি আরব: নাজরানের ঐতিহাসিক অঞ্চলকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করল ইউনেস্কো

সূত্র: আল আরাবিয়া।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ