বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সৌদি আরব: নাজরানের ঐতিহাসিক অঞ্চলকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করল ইউনেস্কো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নুরুদ্দীন তাসলিম।।

ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশ সৌদি আরব আরো একটি বিশেষ মর্যাদা লাভ করল। জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো সৌদি আরবের নাজরানে অবস্থিত ‘হামি শৈল্পিক অঞ্চল’কে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর আগে সৌদি আরবের আরও পাঁচটি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।

সৌদি সাংস্কৃতিক মন্ত্রী প্রিন্স বদর বিন আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, নাজরান-এর হামি অঞ্চলকে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সংস্কৃতিক স্থানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউনেস্কো।

সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ’র খবরে জানানো হয়েছে, চীনের ফুঝৌ শহরে বিশ্ব সংস্কৃতি শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থার ৪৪ তম বৈঠকে নাজরানের হামি সাংস্কৃতিক অঞ্চলকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নাজরানে অবস্থিত হামি সাংস্কৃতিক অঞ্চলটি প্রায় ৫৫৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।

[caption id="" align="alignnone" width="380"] সৌদি আরবের ৬টি জায়গা বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত।[/caption]

অতীতে আরব উপদ্বীপ থেকে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে বাণিজ্যিক সফরের জন্য ব্যবসায়ীদের কাফেলা এ রাস্তাটি ব্যবহার করতেন। এখানে অবস্থিত কূপগুলো কাফেলার রাস্তায় অবস্থিত। এর সংখ্যা ৬ টি।

নাজরানের এই এলাকাটিতে শত বছরের পুরনো অক্ষত কূপ ছাড়াও এর আশপাশে বিভিন্ন পাথরে খোদাই করা শিলালিপি, বিভিন্ন নকশা, প্রতিকৃতিও রয়েছে।

[caption id="" align="alignnone" width="309"] পাথরের উপর খোদাই করা বিভিন্ন ছাপ, যা অতীত যুগের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।[/caption]

এখানে এমন ১৩টি  স্থান রয়েছে যাতে প্রাণীদের পানি পান করানো, শিকার করা ও মানবাকৃতি বিদ্যমান।মানবাকৃতিগুলোতে ঐতিহাসিক আরবীয় পোশাক-এর ছাপ স্পষ্ট। কিছু কিছু ছবিতে মানুষের তৎকালীন প্রচলিত অস্ত্রের ব্যবহারের চিহ্নও রয়েছে। এছাড়া চাকু ও বাদ্যযন্ত্রের স্কেচ ও রয়েছে।

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে হামির এই অঞ্চলটি নাজরান থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ঐতিহাসিক দিক বিবেচনায় হামি এলাকাটি প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কিছু কিছু জায়গা খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ বছরের পুরনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি এমন ঐতিহাসিক স্থান যা দর্শনার্থীদের অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

হামি শৈল্পিক এলাকায় অবস্থিত কূপগুলি স্থানীয়ভাবে উম্মে নাখলা, আল-কুরাইন, আল-জিন্নাহ, সাকিয়া, আল-হামতা এবং আল-হবিসা নামে পরিচিত।

آبار حمى

এগুলোতেএখনও পানি রয়েছে। শত শত বছর আগে কাফেলা যখন এই জায়গা দিয়ে সফর করতেন, বিশ্রামের জন্য এখানে অবস্থান করতেন। নিজেরা ও নিজেদের সাথে থাকা বাহনকেও এখানকার কূপগুলো থেকে পানি পান করাতেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৮ সালে সৌদি আরবের  আল-হিজর, ২০১০ সালে আল-দারিয়া, ২০১৪ সালে জেদ্দার ঐতিহাসিক স্থান, ২০১৫ সালে হাইলের পাথুরে অঞ্চল এবং আল-আহসার ওয়াহা অঞ্চল বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছিল ইউনেস্কো।

সূত্র: আরব নিউজ, এনডিটিভি।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ