আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনার টিকা নেয়ার বয়সসীমা আরও কমিয়েছে সরকার। ১৮ বছর বয়সি সব নাগরিককে করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ এসোসিয়েশন আয়োজিত, 'কোভিডের ৩য় ঢেউ মোকাবিলায়, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধ' শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও জানান, আগামী বছরের শুরুর দিকেই দেশে আসবে প্রায় ২১ কোটি ভ্যাকসিন। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারের হাতে ১ কোটির উপরে ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই আরো ২ কোটি ভ্যাকসিন সরকারের হাতে চলে আসবে। এভাবে চীন থেকে ৩ কোটি, রাশিয়া থেকে ৭ কোটি, জনসন এন্ড জনসন এর ৭ কোটি ভ্যাকসিন, এস্ট্রেজেনেকার ৩ কোটি ভ্যাকসিনসহ আগামী বছরের শুরুর দিকের মধ্যেই সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই দেশের অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে, করোনার টিকা নেয়ার সর্বনিম্ন বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে, করোনার সংক্রমণ রোধে বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর করার সুপারিশ করেছিল কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
গণটিকা কার্যক্রম শুরুর পর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিন সরবরাহে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, ফাইজার, মর্ডানা ও সিনোফার্মের টিকাপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিতের পর ফের শুরু হয় টিকার কার্যক্রম।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি গণহারে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর সময় ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন থাকলেও করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তা কমিয়ে ৪০ বছরে নিয়ে আসা হয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা নিজে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারছে । সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা নিবন্ধন করে, মোবাইলে আসা মেসেজে নির্ধারিত দিনে টিকা নিতে পারবে।
-gcdt