আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করলেও দেশটিতে মানবিক ও কূটনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতির বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, আশরাফ ঘানির সঙ্গে ফোনালাপে এই আশ্বাস দেন বাইডেন।
ওয়াশিংটন সেনা প্রত্যাহার কার্যকর করার পর তালেবান কাবুলে আফগান সরকারের ওপর দারুণ চাপ সৃষ্টি করেছে। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলগুলো এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে, এমন প্রেক্ষাপটে বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ঘানি।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন এবং ঘানি একমত হয়েছেন, তালেবানের বর্তমান আক্রমণ, ‘মধ্যস্ততার মাধ্যমে এই সংঘাতের একটি সমাধানের পুরোপুরি বিপরীত অবস্থান’।
বাইডেন প্রশাসন আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা ঠিক করেছে।
এপ্রিলে সেনা প্রত্যাহারের এই সময়সূচি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে সংঘাত বেড়ে গেছে, তালেবান যোদ্ধারা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরদার এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিংসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, আশরাফ ঘানিকে টেলিফোনে বাইডেন আশ্বস্ত করেন ‘একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং ন্যায্য রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে’ যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সহযোগিতা চালিয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষে কাজ করায় এখন তালেবানের লক্ষ্যে পরিণত হওয়া কয়েক হাজার আফগান নাগরিককে বিশেষ অভিবাসন ভিসায় (এসআইভি) সেদেশ থেকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতিও নিচ্ছে ওয়াশিংটন।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ১০ কোটি ডলারের একটি তহবিল অনুমোদন করেন ‘অপ্রত্যাশিত জরুরি’ শরণার্থী চাহিদা মেটানোর খরচ জোগানোর জন্য।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার জন্য একই চাহিদা মেটাতে ২০ কোটি ডলারের আরেকটি তহবিল ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অনুবাদকের কাজ করায় আফগান নাগরিকদের লক্ষ্যে পরিণত এবং হত্যার নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
-এটি