জুলফিকার জাহিদ।।
হজের সময় অনুমতি ছাড়া বেআইনিভাবে মসজিদুল হারাম ও হজের নির্ধারিত স্থান সমূহে প্রবেশের চেষ্টার বেশকিছু ঘটনা সামনে এসেছে। বেআইনিভাবে জায়গাগুলোতে চেষ্টাকারীদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হজ সেক্রেটারি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সামী শুয়াইরিখ।
তিনি আল-আরাবিয়াকে জানিয়েছেন, ১৪৪২ হিজরীর হজ আদায়কালে মসজিদে হারাম ও পবিত্র স্থান সমূহে বেআইনিভাবে প্রবেশের ৮৭ টি ঘটনা সামনে এসেছে। এসবের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বেআইনিভাবে মসজিদুল হারামের প্রবেশের চেষ্টাকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির মধ্যেই এবার পালিত হয়েছে হজ। হজের কার্যক্রম শুরুর জন্য শনিবার ( ১৭ জুলাই) মক্কা মুকাররমায় পৌঁছেন হাজিরা।মক্কা মুকাররমায় পৌঁছেই তারা সুন্নত তাওয়াফে কুদুম আদায় করেন। এই সময় ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে মসজিদুল হারাম ও বাইতুল্লাহ প্রাঙ্গণ।
হজের আনুষ্ঠানিকতার ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৯ জুলাই) হজের অন্যতম রোকন আরাফায় অবস্থান করেন তারা।মুজদালিফায় রাত্রি যাপনের পর মিনায় পৌছে কংকর নিক্ষেপ করেন হাজিরা।
উল্লেখ্য, মহামারি ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে মসজিদে হারাম এবং তার আশপাশের অঞ্চলে (আরাফাহ, মিনা, মুজদালিফা) প্রবেশের ব্যাপারে কড়াকড়ি করেছে সৌদি আরব।
বার্তা সংস্থা এসপিএ’র খবরে বলা হয়েছে, সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হজের সময়ে মসজিদে হারাম এবং তার আশপাশের অঞ্চলে (আরাফাহ, মিনা, মুজদালিফা) অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না। এই নিষেধাজ্ঞা ৫ জুলাই (সোমবার) থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত জারি থাকবে। তা অমান্য করলে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে।
হজ মৌসুমে সরকারী নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য সৌদি নাগরিক ও বিদেশিদের অনুরোধ করেছেন তিনি।
এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নিরাপত্তা কর্মীরা মসজিদে হারাম, মিনা, মুজদালিফা এবং আরাফায় যাওয়ার সকল রাস্তায় কড়া নজর রাখবে। অনুমতি ছাড়া প্রবেশকারীদের বাধা দেয়া হবে।
সূত্র: আল আরাবিয়া।
এনটি