মোস্তফা ওয়াদুদ: সরকার যদি কোনো শরীয়তবিরোধী কাজ করে তাহলে সতর্ক করার উত্তম ত্বরিকা কী হবে? মিছিল-মিটিং বা আন্দোলনের পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে নাকি আজকাল যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় এটাই যথেষ্ট হবে?
আর এ সতর্ক করার জিম্মাদারী কার? দেশের শিক্ষাদীক্ষায় সময় ব্যয়কারী শিক্ষকদের নাকি রাজনৈতিক উলামাদের? নাকি অন্য কোনো লোকের? শরীয়ত বিরোধী কাজের জন্য সরকারকে সতর্ক করা উল্লিখিত সবার জন্য আবশ্যক নাকি কয়েকজনের উপর?বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
আরও পড়ুন: একই মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখা ও কুরআন পড়ার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া
দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এমন প্রশ্ন করলে দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘সবচেয়ে সুন্দর পদ্ধতি হলো, সবার আগে রাষ্ট্রের নির্ধারিত নিয়ম কানুনের উপর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যে, রাষ্ট্রের সংবিধানে প্রতিটি দলের, প্রতিটি সদস্যের নিজ নিজ মতের উপর কথা বলার ও নিজ নিজ মতের উপর নিজেকে পরিচালনা করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। এটি একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।
আরও পড়ুন: মহিলাদের খোলা মুখে ইউটিউবে দীনের দাওয়াত দেয়া বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া
তারপর রাষ্ট্রের কানুনের মধ্যে যদি কোনো বিষয় শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক ধরা পড়ে। অথবা সরকারের কোনো শরীয়তবিরোধী কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয় তাহলে কোরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে শরীয়তের বিধান উপস্থাপন করা হবে।
আর শরীয়তের এসব দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের পূর্বে কোনো রাজনৈতিক আলেম অথবা কোন মুসলিম ব্যারিস্টারকেও পরামর্শের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করে নিবে।
আরও পড়ুন: অন্য কেউ মৃত ব্যক্তির ছবি প্রচার করলে মরহুমের গোনাহ হবে কী? দেওবন্দের ফতোয়া
মিছিল মিটিং বা আন্দোলনের পদ্ধতি অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তা নেই। কেননা অত্যন্ত সূক্ষ্ম চিন্তার মাধ্যমে যে কাজ হয়ে যায় সেটাই বেশি প্রভাব বিস্তার করে।’
দেওবন্দের ওয়েবসাইট থেকে অনুবাদ
এমডব্লিউ/