শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


লকডাউনে ছাত্রীদের বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মাদরাসা শিক্ষিকা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

করোনাকালের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় আছেন প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। লকডাউনের এ অবসর সময় যেন কাটছে ই না তাদের। প্রতিদিন যেখানে কোরআনুল কারিম, হাদিস কিংবা পাঠ্যবইয়ের পেছনে সময় ব্যয় হতো শিক্ষার্থীদের। সেখানে এখন হেসেখেলে, গল্পগুজবে পার হচ্ছে তাদের সময়। দেশের অধিকাংশ মহিলা মাদরাসাগুলোই প্রাইভেটভাবে পরিচালিত। ক্ষতির এ তালিকায় মোটেও পিছিয়ে নেই তারা। মহিলা মাদরাসার ছাত্রীরা লকডাউনে কী করবে? এই বিষয়ে কিছু পরামর্শ তুলে ধরেছেন রাজধানীর তালিমুল কোরআন মহিলা মাদরাসার শিক্ষিকা শারমিন সুলতানা ইলমা। তার সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ার ইসলামের নিউজরুম এডিটর মোস্তফা ওয়াদুদ।।


তিনি বলেন, ছাত্রীদের সময়গুলো খুবই মূল্যবান। কেননা তারা জীবনের ক্ষুদ্র কিছু সময় পান পড়ালেখার জন্য। তাদের পুরো জীবনটাই কেটে যায় স্বামী-শ্বশুরবাড়িতে। যে কয়েকটা দিন তারা পড়াশোনার জন্য পান- এই সময়গুলো তাদের সারাজীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন মাদ্রাসা বন্ধ। এই সময়ে তাদের যেনো কোনোভাবেই হেলায় খেলায় নষ্ট না হয়। তারা এ অবসরে অনেক ধরনের কাজ করতে পারে। যেমন বাসায় পিতা-মাতার সাহায্য করবে। তাদের প্রয়োজনীয় ঘরোয়া কাজ করে দিবে।

তিনি বলেন, করোনার এ সময়ের একটি পজিটিভ দিক আছে। তা হলো, তারা সারাবছর মাদরাসায় থাকার কারণে বাবা-মায়ের খেদমাত ঐভাবে করতে পারেনি। সেখানে তারা পড়াশোনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। এখন বাসায় থাকায় তাদের পারিবারিক জীবন কীভাবে সাজাতে হবে? বিয়ে পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি কেমন হওয়া চাই? সে বিষয়গুলো শিখে নিতে পারে।

বিশেষত রান্নাবান্না, ঘর ঘোছানোসহ বিভিন্ন রকমের হাতের কাজ তারা এ সময়ে করতে পারে। এতে করে তাদের সময়গুলোও কাজে লেগে যাবে। আবার ছাত্রী পরবর্তী জীবনের কিছু সঞ্চয়ও হয়ে যাবে।

এছাড়া বাসায় থেকে ছাত্রীরা নিয়মিত তাদের মা’মুলাতগুলো পালন করবে। বিশেষ করে বাসায় তারা পর্দা রক্ষা করে চলাফেরা করবে। বাসার পাশে যেসব প্রতিবেশি নারী আছেন, তাদের দীন শিখাবে। নামাজের নিয়ম-কানুন, প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা দিবে। প্রতিদিনের ফরজ বিধানাবলীর প্রতি বিশেষ যত্নবান হবে।

তিনি বলেন, নারীরা হলো সমাজের রাণী। যদি তারা রাণীর মতো নিজেকে চালাতে চান, তাহলে ছাত্রী জামানাতেই তা শিখে নিতে হবে। আর পড়াশোনার বাইরে ঘরোয়া কাজের জন্য লকডাউন হতে পারে গণীমত। এ গণীমতকে কদর করে অনেক বিষয়ই আয়ত্ম করতে পারে। তবে এর জন্য প্রয়োজন ছাত্রীদের অধীর আগ্রহ। প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও ভবিষ্যত টার্গেট নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা। তাহলে ছাত্রী জামানার পরবর্তী জীবন হবে সফলকাম। লকডাউনের সময় হবে স্বার্থক।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ