আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সম্প্রতি পাবনা গণপূর্ত ভবনে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার ঘটনায় জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।সামাজিক মাধ্যমেও ওই ঘটনার ভিডিও গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি এবং এক যুবলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থায়ী বহিষ্কার কেন করা হবে না- তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বুধবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া নোটিশের অনুলিপি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকেও দেওয়া হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন- পৌর আওয়ামী লীগের স্থগিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন রেজা খান মামুন (এম আর খান মামুন) এবং সদর উপজেলার স্থগিত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ ফারুক হোসেন ওরফে হাজী ফারুক। এ ছাড়া তাদের কেন দলের সকল পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- তার কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, পাবনা জেলা যুবলীগ একই ঘটনায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আনোয়ার হোসেন ওরফে শেখ লালুকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। বুধবার শেখ লালুকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. মনির উদ্দিন আহমেদ মান্না। তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি স্বাক্ষরিত চিঠি শোকজপ্রাপ্ত দুই জনের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চিঠির কপি হোয়াটসঅ্যাপ ও কুরিয়ারের মাধ্যমে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন দুপুরে উল্লিখিত তিন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে পাবনা গণপূর্ত ভবনে যান। ওই সময় তারা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
-এএ