আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সজোরে থাপ্পড় খাওয়ার ঘটনা ভাইরাল হয়েছে গেছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। গত ৮ জুনের এমন ঘটনার পর দুদিন অনেকটা আড়ালেই ছিলেন তিনি। এবার প্রকাশ্যে এসে সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন।
ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমি বরাবরই মানুষের কাছাকাছি যাওয়াটা পছন্দ করি। তাদের সমস্যা শুনতে চাই, সমস্যা থাকলে সমাধান করতে চাই। এটাই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য। একজন শাসককে কাছে পেলে মানুষ তার ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করবে, তা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, সেটা যেন সহিংসতায় রূপ না নেয়।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ কাসেক্স বলেন, দেশের প্রধানের ওপর আঘাত মানে দেশের ওপর আঘাত করা। এটা মেনে নেয়া যায় না। এই ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা কোনো ছাড় দেব না। ক্ষোভ জানানোর বৈধ অনেক উপায় আছে। কিন্তু সেজন্য শরীরিক আঘাত করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
গত মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সেখানে উপস্থিত জনতার সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় অকস্মাৎ এক ব্যক্তি ম্যাক্রোঁর গালে সজোরে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাক্রোঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তিকেও আটক করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমে যাওয়ায় সবকিছু কীভাবে স্বাভাবিক করে আনা যায়- তা নিয়ে শিক্ষার্থী ও রেস্টুরেন্ট মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁ। কিন্তু সেখান থেকে তাকে অপদস্থ হয়েই ফিরতে হয়েছে।
কিছুদিন আগে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলাম ও মহানবী হযরত মোহাম্মদের (সা.) অবমাননা করেছে ফ্রান্স। এ নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা মুসলিম বিশ্ব। সেই পরিস্থিতিতেও দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার বিভিন্ন বক্তব্যে কার্যত ইসলাম এবং মুসলমানদেরকে অবমাননার পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন।
-এটি