আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিচার শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ আনা হলো মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে। দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, সু চি ঘুষ হিসেবে নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালংকার নিয়েছেন।
১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর সু চির বিরুদ্ধে মোট ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে একটি অবৈধভাবে ওয়াকিটকি কেনা। ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করে গৃহবন্দী রাখা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সেনাবাহিনী বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, সু চি ঘুষ হিসেবে ৬ লাখ ডলার এবং সাতটি স্বর্ণালংকার নিয়েছেন। সু চির বিরুদ্ধে আগে যেসব মামলা হয়েছে তার বিচার শুরু হবে আগামী ১৪ জুন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দাবি, দেশটির গত বছর নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতি করা হয়েছে। আর এই অভিযোগে সু চিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ আর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। তবে সু চিকে গ্রেপ্তার করে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে জান্তা সরকার।
এরপর থেকে সু চির মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামা প্রতিবাদীদের দমন করতে সেনাবাহিনী নৃশংসতার পথ বেছে নেয়। আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ৮০০’র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
-এটি