মুসা আল হাফিজ।।
ছোট্ট এক পতঙ্গ। মধুকর। কী তার অনুভবশক্তি! বহুদূর থেকে পায় ফুলের ঘ্রাণ, যেখান থেকে ঘ্রাণ পাবার কোনো উপায় মানুষ এখনো জানে না।
মৌমাছিকে উপায় খুঁজতে হয় না। তার আছে ১৭০টি ঘ্রাণ সংবেদী ইন্দ্রিয়। যা শুধু গন্ধই এন দেয় না দূর থেকে, বরং জানিয়ে দেয় কোন গন্ধ কোন ফুলের?
তার এমন শক্তির কারণেই কি আল কুরআনে তার উল্লেখ? তার নামে এক সূরা? আসলে কারণ শুধু এটি নয়। আসল কারণ আল্লাহর পছন্দ ও বাছাই। যার মধ্যে নিহিত থাকে আমাদের জানা অজানা অগণন রহস্য। উপকার।
বিশ হাজার প্রজাতির মৌমাছি দুনিয়াময় রহস্য ও উপকারের প্রতিক হয়ে আছে। তারা টিকে আছে লক্ষ বছর ধরে। তারা তৈরী করে মধু। মানুষ তা পান করে। খুব সহজেই পান করে। কিন্তু একটি বড় চাকের মধু তৈরীর জন্য চাকের প্রতিটি মধুকে পাড়ি দিতে হয় প্রায় নব্বই হাজার মাইল পথ! সাধারণত ৫০০ গ্রাম মধু তৈরি করতে ২ মিলিয়ন ফুলের প্রয়োজন হয় মৌমাছির!
তার উদয়াস্ত পরিশ্রমে তৈরী হয় মধু। যার সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘ফিহি শিফাউল লিন্নাস’, তাতে আছে মানবজাতির মহৌষধ।
কী সেই শিফা? বিজ্ঞান বলছে, মধুতে থাকে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, এনজাইম ও খনিজ পদার্থ । যাকে সব রোগের মহাষৌধ বলা হয়।
প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে মধুতে। যার মধ্যে আছে এনজাইম বা উৎসেচক, খনিজ পদার্থ (যথা পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ), এছাড়াও রয়েছে প্রোটিন , যা বিশেষ মাত্রায় শক্তি উৎপাদন করে। মধু একই সাথে শরীরকে দেয় তাপ ও বল। সুস্থতার জন্য যা একান্ত প্রয়োজন।
মধুতে থাকে শর্করা। এতে আছে ডেক্সট্রিন। খাবারের পরে যা সরাসরি রক্তে ঢুকে পড়ে এবং তা সহজেই তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে। মধু দ্রুত হজম হয় এবং বাড়ায় হজমক্ষমতা।
আপনার ডায়রিয়া? কোষ্ঠকাঠিন্য? ১ চা চামচ খাঁটি মধু সকালে পান করুন। নিয়মিত। কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
আপনার রক্তশূন্যতা? মধুর সহায়তা নিন। কারণ সে রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরীতে ভূমিকা রাখে।
আপনার হাপানি রোগ? ফুসফুসে সমস্যা? মধু এতেও সহায়তা করবে। কারণ তাতে আছে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ। যা শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে কার্যকর।
ভাবছেন মধুকে ক্যানভাসারদের মতো সর্বরোগের মহৌষধী বানিয়ে দেয়া হচ্ছে না তো ?
আসলে মধু নিয়ে কাজ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই হিপোক্রেটিস ( খ্রি. পূর্ব- ৪৬০- ৩৫৭) থেকে নিয়ে D H Denison Han, S. Playford Ghosh, SG Bell অবধি চলমান আছে গবেষণা। গবেষণায় যে ফলাফল উঠে এসেছে,সেটাই জানিয়েছেন তারা। আমরা তাদের প্রতিধ্বনি করছি মাত্র।
মধু নির্ভেজাল খাদ্য। এর শর্করার ঘনত্ব এত বেশি যে, এর মধ্যে কোনো জীবাণু ১ ঘণ্টার বেশি সময় বাঁচতে পারে না। এতে ভিটামিন এ, বি, সি প্রচুর পরিমাণ বিদ্যমান। মধুতে কোনো কোলস্টেরল নেই। সুস্থ অসুস্থ যে কেউ মধু খেতে পারেন। সুস্থ মানুষ দিনে দু’চা-চামচ মধু অনায়াসে খেতে পারেন। বেশি খেতে চাইলে শর্করা জাতীয় খাদ্য ভাত, রুটি, আলু কমিয়ে খেতে হবে। অন্যথা মোটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে পরিমিত পরিমাণ খেলে মোটা হওয়ার ভয় নেই।
আহা,অনিদ্রা! ঘুম আসেই না। এই না আসার দায় চাপাচ্ছি ডিপ্রেশনের উপর। কোনো উপায় পাচ্ছেন না নিরাময়ের। মধুকে একটা সুযোগ দিন। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সাথে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। দেখুন, খুব সম্ভবত ঘুম আসছে!
তারুণ্য বজায় রাখবেন! হালকা গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে পান করুন। পুরুষত্বের দুর্বলতা নিরসনে কাজ দেবে।
মধু এন্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রঙ ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায়, প্রাণপ্রাচুর্যে সহায়তা করে।
দাঁত ক্ষয়ে যাচ্ছে? মধু ব্যবহার করুন। মুখের ভেতরে ঘা,পুঁজ। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। মাড়ির প্রদাহ দূর হবে। মুখে নিয়মিত মধুর ব্যবহার এমনকি দাঁত পড়ে যাওয়াকেও বিলম্বিত করে।
পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে মধু, দূর করে হজমের গোলমাল। কমিয়ে দেয় হাইড্রোক্রলিক এসিড ক্ষরণ, ফলে দূর হয় অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা...
শীতের ঠাণ্ডা শরীরে তাজাভাব দরকার। ফুটানো পানির সাথে এক বা দুই কাপ মধু পান করুন।
ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়।
মধুতে নেই কোনো চর্বি। মধু পেট পরিষ্কার করে, মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে।
শিশুদের ছয় মাস বয়সের পর থেকে অল্প করে (তিন চার ফোঁটা) মধু নিয়মিত খাওয়ানো উচিত। এতে তাদের পুরো দেহের বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশ ভালো হবে।
এই উপকারিতা পেতে হলে খাটি মধু চাই। কিন্তু কীভাবে সনাক্ত করবেন খাটি মধু? মধু নিজেই পদ্ধতির উৎস।
খাঁটি মধু পানির গ্লাসে ড্রপ আকারে ছাড়লে তা সরাসরি ড্রপ অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যায়। কয়েক ফোঁটা মধু একটি ব্লটিং পেপারে নিলে ব্লটিং পেপার কর্তৃক মধু শোষিত হবে না। ভেজাল মধুকে ব্লটিং পেপার শোষণ করতে পারে, পেপারকে সে আর্দ্র করে তোলে।
শরীরের পানিশূন্যতা দূরিকরণে মধু কার্যকর। ডায়রিয়ার জবাবে এর ব্যবহার হাদীসে নির্দেশিত।
‘হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত একটি লোক রাসূলুল্লাহর (সা.) কাছে এসে বলল, ‘আমার ভাইয়ের খুব পায়খানা হচ্ছে।’ তিনি বললেন, ‘তাকে মধু পান করিয়ে দাও। সে গেল এবং তাকে মধু পান করাল। আবার সে এলো এবং বলল (এভাবে দু’বার) পুনরায় এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! তার পায়খানা তো আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বললেন, আল্লাহ সত্যবাদী এবং তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যাবাদী। সে গেল এবং তাকে মধু পান করাল। এবার সে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করল।’ (বুখারি : ৫/২৯১, মুসলিম, তিরমিজি : ৬০৭/ ২০২৩)।
মৌমাছি মধু জমায় যে চাকে, সে এক অনিন্দ্যসৃষ্টি।
অন্ধকার স্থান যেমন- গাছের ফোকর, দেয়ালের ফাটল, আলমারি, ইটের স্তূপ ইত্যাদি স্থানে এসব চাক সাজানো হয়।চাকপ্রতি মধুর উৎপাদন প্রতিবারে গড়ে প্রায় ৪ কেজি।
মার্কিন গণিতজ্ঞ থমাস হেলস বলেন, মৌচাক হলো প্রকৃতির সবচেয়ে সুনিপুণ শৈল্পিক পদ্ধতিতে বানানো একটি বাসস্থান। একটি মৌচাকের ভেতর অসংখ্য রুম থাকে। ষষ্ঠভুজাকৃতির প্রতিটি কক্ষ। দারুণভাবে সুবিন্যস্ত।
মৌমাছিরা কিছু কক্ষে মধু সঞ্চয় করে। কিছু প্রকোষ্ঠ থাকে ফাঁকা। সেখানে তারা ডিম পাড়ে। সংরক্ষণ করে লার্ভা ও পিউপা।বাচ্চা মৌমাছিরা বড় হয় কক্ষগুলোতে । এখানে জমা থাকে মধু আর ফুলের পরাগ রেণু।
সবচে' নির্ভেজাল ও শৈল্পিক উপাদান দিয়ে তারা ঘর বানায়। শ্রমিক মৌমাছির মোমগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত মোম এ ঘরের প্রধান সামানা।
মোম ছাড়াও বাসা নির্মাণে শ্রমিক মৌমাছি রেজিন জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে। গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে এই পদার্থ তারা সংগ্রহ করে। এর ব্যবহারের ফলে বাসার গঠন শক্ত হয়। মৌমাছির শরীরের আকার ও আয়তন অনুযায়ী বাসা নির্মাণ করা হয়। মৌচাকে রানীর জন্য বানানো কুঠুরিটি হয় সবচেয়ে বড়।
একটি মৌচাকে তিন শ্রেণীর মৌমাছি থাকে, যথা: (১) রাণী, (২) পুরুষ ও (৩) শ্রমিক মৌমাছি। রাণী মৌমাছি আকারে সবচে' বড়। একটি চাকে থাকে কেবল একটি রাণী । তার একমাত্র কাজ ডিম পাড়া। পুরুষ মৌমাছি আকারে মধ্যম, চোখ তাদের বড় বড়। তাদের কোনো হুল থাকে না। এদের একমাত্র কাজ রাণীর সাথে মিলিত হওয়া।
কাজ করে শ্রমিক মৌমাছিরা। তারা সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির। চোখ এদের ছোট, হুল এদের ভয়ানক। রাণী ও পুরুষ বাদে অবশিষ্ট সকল সদস্যই শ্রমিক মৌমাছি।
শ্রমিকদের কাজ বিন্যস্ত। বিকেন্দ্রিত। বিভিন্ন দলের বিভিন্ন কাজ। প্রতিটি দলে থাকে কঠিন শৃঙ্খলা। চাক বানানো, ফুলের মিষ্টি রস ও পরাগরেণু সংগ্রহ, মধু তৈরি , চাকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ , চাকে বাতাস দেয়া, চাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত মৌমাছিরা খুবই ব্যস্ত সময় পার করে। চাকের গঠনে যেমন থাকে শিল্প, তেমনি একে ঘিরে কাজের বিন্যাসেও থাকে শিল্প।
তাদের এই বিন্যাস শৈল্পিকতা আল্লাহর প্রদত্ব বিশেষ প্রজ্ঞার স্মারক। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আপনার রব মৌমাছিদের জ্ঞান ও নির্দেশনা দিয়েছেন, গৃহ নির্মাণ কর পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে গৃহ নির্মাণ করে, তাতে।’ ( সূরা নাহল : ৬৮)
ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায় মৌমাছি। শুধু মধু সংগ্রহ করে? না। সে আরোও অনেক উপকার করে চলে। পরাগায়ন তার সেরা এক কাজ। ফুল থেকে ফুলে সে যখন উড়ে, তখন নিজের পা এবং বুকের লোমে ফুলের অসংখ্য পরাগরেণু বয়ে বেড়ায়। এক ফুলের পরাগরেণু অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়লে পরাগায়ন ঘটে, যার ফলে উৎপন্ন হয় ফল।
পরাগায়নের জন্যে বাগানে মধু চাষ খুবই ফলপ্রসু। এ পরাগায়নের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বাড়ানো যায়। বিভিন্ন মধুফুল মৌসুমে মৌমাছি দ্বারা পরাগায়িত ফসলের ১০ থেকে ১৫ ভাগ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদিত বাড়তি ফসলের মূল্য মোট উৎপাদিত মধু ও মোমের মূল্যের ১০ থেকে ১৫ ভাগ বেশি।
মৌমাছি আমাদের মধু দেয়,সুস্থতা ও বলবৃদ্ধিতে সহায়তা করে, পরাগায়নের মাধ্যমে ফলের জন্মে ভুমিকা রাখে,বিষয়টি এতটুকুই নয়। আমাদের জীবনযাপনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নিশ্চয়তায় তার ভুমিকা বিপুল। কেবল ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাপী ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধু রপ্তানি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি মধু রপ্তানি হয়, যা মোট রফতানির ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ।
ধরেন বাংলাদেশের কথা। এখানে দেশি ও বিদেশি মিলে বর্তমানে আছে ৪ প্রজাতির মৌমাছি । এপিস ফ্লোরিয়া, এপিস ডরসাটা, এপিস সেরেনা ও এপিস মেলিফেরা। এপিস মেলিফেরা বিদেশী মধুকর। সে ইউরোপ থেকে এসেছে। ভদ্রলোকি ভাব দেখায় সে, শান্ত থাকে। বাংলাদেশ তার ভালো লেগেছে, এখানে এর চাষ করা হয়।
মাত্র চারপ্রজাতির মৌমাছি। কিন্তু তাদের মধুর উপর টিকে আছে হাজার হাজার পরিবার। প্রাকৃতিক মৌয়ালরা অগণিত। যুগ যুগ ধরে তারা মধুর আয়ে বেঁচে আছে। তাদের ছাড়াও বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া মৌ চাষির সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার। এসব চাষির খামারে বছরে গড়ে ছয় হাজার টন মধু উৎপাদন হয়। যার অধিকাংশই রপ্তানি হয় নানা দেশে!
যুদ্ধ তৈরী করে আগ্রাসী মানুষ। মাইন পুতে রাখে অন্য মানুষকে মারার জন্য। সেই মাইন খুঁজে পেতে এখন সাহায্য করছে মৌমাছি। ট্রাইনাইট্রোটলুইন খাইয়ে মধুকরদের ছেড়ে দেওয়া হয় সম্ভাব্য মাইন থাকতে পারে এ রকম এলাকায়। যেকোনো গন্ধের প্রতি প্রচণ্ড সংবেদনশীল তারা । ল্যান্ডমাইন যেহেতু ট্রাইনাইট্রোটলুইন রাসায়নিক ব্যবহার করে বানানো, ফলে মৌমাছির এই সংবেদনশীলতার কারণে ল্যান্ডমাইনের আশপাশে খাবারের খোঁজ করতে থাকে, যা পর্যবেক্ষণ করে একটি ড্রোন। তাদের গতিবিধি থেকে ড্রোন বলে দিচ্ছে কোথায় আছে ল্যান্ডমাইন!
কোভিড ১৯ এর কাছে পরাস্ত মানুষ সহায়তা নিচ্ছে পতঙ্গটির। নেদারল্যান্ডসের ওয়াজেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব-পশুচিকিত্সার গবেষণাগারে তাকে দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ ।ভাইরোলজির অধ্যাপক উইম ভ্যান দের পোয়েল নিশ্চিত করেন, প্রশিক্ষিত মৌমাছিরা কোভিড–১৯ আক্রান্ত নমুনা শনাক্তের সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের স্ট্র–র মতো লম্বা ও সূক্ষ্ম শুঁড় প্রসারিত করছে। সনাক্ত হচ্ছে আক্রান্তরা
এভাবেই সে অতিপ্রাচীন কাল থেকে অতিআধুনিক আমলেও নিজের অপরিহার্যতা নিশ্চিত করে চলছে!
ক্ষুদ্র এক প্রাণি মানুষ ও তার বেঁচে থাকার জন্য আর কতো করবে?