আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ও উপকূল অঞ্চলে স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (৭ জুন) সকাল ১১ টায় নগরীর দৌলতপুর শহীদ মিনার চত্বরে ইশা ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা ও মহানগরের যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়।
জেলা সভাপতি মুহা. নাজমুস সাকিবের সভাপতিত্বে ও নগর সাধারন সম্পাদক মুহা. ইব্রাহিম ইসলাম আবীরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর সেক্রেটারী শেখ মুহা. নাসির উদ্দীন, বিশেষ অতিথি ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন খুলনা জেলা সেক্রেটারী হাফেজ আসাদুল্লাহ গালীব।
শেখ মুহা. নাসির উদ্দীন বলেন, যথাযথ স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে অনতিবিলম্বে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনার অজুহাতে দুই শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ ৪৩৬ দিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দরুণ প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। যেখানে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রম চলমান। গণ পরিবহন, অফিস-আদালত, কারখানা-গার্মেন্টসসহ কি খোলা নেই বাংলাদেশে! কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই শুধু করোনা বাড়বে? এটি অযৌক্তিক অজুহাত ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯ তম সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে উপমহাদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘৃণিত নজির স্থাপন করেছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। কিন্তু শিক্ষা যদি হয় অটোপাশ তবে জাতি হবে মেধা শূন্য। শিক্ষার্থীরা আজ বই-খাতা রেখে জীবিকার তাড়নায় কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। অনেকেই শিক্ষার আশা ছেড়ে দিচ্ছে। অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। মাদক, ইয়াবা ও শিশু ধ্বংসাত্মক ডিভাইস তাদের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে। এভাবে জাতিকে বোকা বানিয়ে একটি মেধাহীন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উপর আরোপিত ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইশা ছাত্র আন্দোলন নগর সভাপতি মুহা মইনুল ইসলাম, মুহা. মাহমুদুল হাসান, মুহা. মইনুদ্দিন, মুহা. ইনামুল হাসান সাইদ, মুহা. ফরহাদ মোল্লা, মুহা. আবু বকর, মুহা. আবু রায়হান, মুহা. মাহদী হাসান মুন্না, গাজী শফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুহা. রফিকুল ইসলাম, মুহা. হাবিবুল্লাহ মিছবাহ, মুহা. রাসেল বিন জামালসহ জেলা নগর ও থানা শাখাগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
-এএ