ইকবাল হোসেন
গাজীপুর প্রতিনিধি>
গাজীপুরে মহাসড়ক থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে ১৩দিন পর মঙ্গলবার ক্লুলেস এ ঘটনার রহস্য রিক্সাচালকের সহযোগিতায় উন্মোচন করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এ ঘটনায় জড়িত কাভার্ডভ্যানের ড্রাইভার ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা একজন হলেন- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বল্লাচৌ গ্রামের মৃত আবু কামাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ মিয়া (২৩)। দ্বিতীয় জন হলেন- লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জের হাঁপানিয়া গ্রামের মোঃ বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোঃ জাবেদ হোসেন (২৬)।
জিএমপি’র গাছা থানার এসআই রাশেদুর রহমান জানায়, গত (১৯ মে) রাত ৩টার দিকে গাজীপুর মহানগরের বড়বাড়ি এলাকার পাকসিন ফ্যাক্টরীর সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একপাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন নিহতের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। একটি কাভার্ডভ্যান থেকে লাশটি মহাসড়কের পাশে একটি লাশ ফেলে পালিয়ে গেছিল পুলিশকে জানিয়েছিল স্থানীয়রা। এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগরের গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এরপর পুলিশ নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের মাধ্যমে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে পরে। নিহতের নাম গাজী ফারুক হোসেন বাবু (৫৫)। সে ঢাকার দক্ষিণখানের ফারদাবাদ এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের সন্তান। পুলিশ নাম-পরিচয় জানার পর (২১ মে) নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পেরে তদন্ত কার্যক্রম অব্যহত রাখে পুলিশ।
তদন্তকালে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক রিক্সা চালকের সন্ধান পায় পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য ও গাড়ির নম্বরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা হতে চালক রাশেদ ও হেলপার জাবেদকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের দেশ ট্রাভেল এজেন্সীর একটি কাভার্ডভ্যানসহ আটক করা হয়। আটককৃতদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে পথচারী গাজী ফারুক হোসেন বাবু গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন বলে তারা জানায় এবং আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার রাতে কাভার্ডভ্যানটি নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে ওই ব্যক্তি হঠাৎ পেছনের চাকার নীচে চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পরে নিহতের লাশ গাড়ির নীচ থেকে বের করে সড়কের একপাশে রেখে গাড়ি নিয়ে চালক ও হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে। রিক্সা চালক মুন্না এ ঘটনা দেখতে পেয়ে কাভার্ডভ্যানটির নম্বর একটি চিরকুটে লিখে পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে রাখে যা পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তাকে দেয়। এরপ্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় ১৩দিন পর মহাসড়ক থেকে লাশ উদ্ধারের রহস্য উন্মোচন হয়েছে
-এটি