আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে পালিয়ে আসার সময় আরও ১৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে। উপজেলার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নদীর কূল থেকে আজ রোববার ভোরে তাদের আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক রোহিঙ্গারা দালালের মাধ্যমে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নৌকায় করে সন্দ্বীপ উপকূলে আসে। তারা সন্দ্বীপ হয়ে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য ভাসানচর থেকে পালিয়ে যায়। পরে আজ রোববার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান আটক রোহিঙ্গাদের গ্রাম পুলিশের হেফাজতে রাখেন। এরপর তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আটক রোহিঙ্গারা হলো আয়াতুল করিম (৩০), ইয়াসমিন আরা (২৯), মো. ইমতিয়াজ (১৮), নয় কিশোর-কিশোরী ও দুই শিশু।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহাম্মদ খান জানান, মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের নদীর কূল থেকে আটক রোহিঙ্গাদের থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে ভাসানচর থেকে পালানোর ২১ দিনের মাথায় গতকাল শনিবার দুই পরিবারের ১০ রোহিঙ্গা সদস্যকে শনাক্ত ও আটক করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) গতকাল শনিবার বিকেলে মধুরছড়া এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠান।
এপিবিএন-১৪ এর কমান্ডার (পুলিশ সুপার পদমর্যাদা) নাঈমুল হক গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, গত ৮ মে নোয়াখালীর এক দালালের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ভাসানচর থেকে ট্রলারে করে নোয়াখালীর একটি জায়গায় এসে প্রথমে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। পরে সেখান থেকে তারা গোপনে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনের ঘরে এসে অবস্থান নেয়। ভাসানচরে যাওয়ার আগে তারা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৩ এর ৯ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ছিল। তারা ৩ মার্চ ভাসানচরে গিয়েছিল।
কমান্ডার নাঈমুল হক জানান, খবর পেয়ে বিকেলে ক্যাম্পের মাঝিদের সহায়তায় পালিয়ে আসা এনায়েত উল্লাহ ও কেফায়েত উল্লাহকে আটক করা হয়। পরে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের আটক করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে সবাইকে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নাঈমুল হক আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, ভাসানচর তাদের ভালো না লাগায় দালালের মাধ্যমে পালিয়ে এসেছে।’
এ ব্যাপারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ দৌজা বলেন, ‘যারা ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছে তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে, আটক করে ভাসানচরেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
-এটি