আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ থেকে রক্ষা পায়নি শরণার্থী শিবিরও। অব্যাহত বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং গোলাবর্ষণে সেখানে নিহত বেড়ে ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩৭ শিশু রয়েছে। এখন পর্যন্ত আহত হয়েছে প্রায় ১ হাজার।
গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইহুদি বাহিনী। এতে দুই নারী ও ছয় শিশু নিহত হয়েছে। অনেকে ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। জবাবে তারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে।
এদিকে গাজায় হামলার প্রতিবাদে পশ্চিমতীরে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভে হামলা চালিয়ে ১১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের বাসা-বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে ইহুদি সেটলাররা।
এছাড়া ইসরায়েলে অভ্যন্তরে গাজায় হামলা বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি উগ্রপন্থী ইহুদিরা হামলা চালিয়েছে। সেখানকার ইসরায়েলি-আরবদের বাসা-বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে তারা।
রাশিয়া ও মিসরের দেওয়া ‘যুদ্ধবিরতি’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তি ব্যবহার করার জন্য উগ্রপন্থী ইহুদিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলি উগ্রবাদীদের ‘জেরুসালেম দখল দিবস’ উদ্যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সাত শতাধিক মুসল্লি আহত হন।
এনটি