আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনা মহামারির মধ্যে দ্বিতীয় মেয়াদের একবছর পূর্ণ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। একবছর পূর্তি এবং আগামী বছরগুলোতে কিভাবে দায়িত্ব পালন করতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমার একটি বছর চলে গেছে পুরাটাই করোনা মহামারির মধ্যে। আমি সব সময় বলেছি আমি নগর সেবক হিসাবে থাকতে চাই নগর পিতা না। দায়িত্ব নেওয়ার পরেও আমি কখনো কঠিন হয়েছি, আবার যখন দরকার হয়েছে নরম হয়েছি। কিন্তু এখন সময় এসছে কঠিন হবার।
আজ শুক্রবার (১৪ মে) সকালে মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এসব কথা বলেন। এর আগে মেয়র হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, হাসপাতালের স্টাফ, আনসার ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ঈদ শুভেচ্ছা গিফট তুলে দেন।
এসময় পাশে ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের আগেও গতবার করোনার সময় বিভিন্ন বাসায় গিয়ে ত্রাণ দিয়েছি। দায়িত্ব নেওয়ার পরেও আমার কার্যক্রম অব্যহত রেখেছি।
মেয়র বলেন, আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ। তারমধ্যে অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মশা। করোনা মহামারির মধ্যে আর একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে এখন ডেঙ্গুর উপযুক্ত সময়। তাই নগরবাসীকে আমার অনুরোধ করোনা থেকে রেহাই পেতে যেমন আপনার মাস্ক পরেন, ঘন ঘন হাত ধৌত করেন। ঠিক অনুরূপভাবে আপনারা আপনার বাড়ি, অফিসের আঙিনা পরিস্কার রাখুন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সার্ভিস অব্যাহত থাকবে, সেটা করোনাকালে হোক আর যে কোন মহামারি হোক তার মধ্যেও ডিএনসিসির কাজ অব্যাহত থাকবে। মহামারির মধ্যে আর একটা বড় আতঙ্ক হচ্ছে ডেঙ্গু। এখন এডিস মশার সময়। এডিস মশার জন্ম হয় অভিজাত এলাকায়। এটি একটি অভিজাত মশা। এটির জন্ম হয় বাসাবাড়ির ছাঁদে, অব্যহৃত টব, কমোড, টায়ারে ইত্যাদিতে। তাই নগরবাসীকে অনুরোধ করব তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন। এটিও মাস্ক পরার পাশপাশি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মেয়র বলেন, ভুলে গেলে চলবে না। এই নগর শুধু মেয়রের বা কাউন্সিলরদের একার না। নগর শুধু সরকারের না, এই নগরে যারা থাকি, দেশে যারা থাকি নাগরিক হিসেবেও আমাদের দায়িত্ব আছে। আমরা মাস্ক পরে থাকি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলি, শহরকে পরিস্কার রাখি।
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে ডিএনসিসির প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টার করোনা রোগীদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান মেয়র। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ যদি কোন কারণে করোনা হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টারের প্রয়োজন পড়ে তাহলে যেমনি করে মহাখালী ডিএনসিসি মার্কেটকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়েছে, তেমনিভাবে ডিএনসিসির কমিউনিটি সেন্টারগুলোও হাসপাতাল করতে প্রস্তুত রয়েছে।
-এটি