আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের দীর্ঘ দিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই অসংখ্য রকেট হামলা চালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। রকেট হামলায় সেনাসদস্যসহ সাতজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক ডজন।
দখলদারদের আগ্রাসনের জবাবে হামাসের পাল্টা হামলা নাড়িয়ে দিয়েছে ইহুদিদের। তবে হামাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলে এখনও মূল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল আরোয়ি আল-আকসা টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমরা ইসরায়েলে এ পর্যন্ত যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছি তার সবগুলোই পুরনো। আমাদের মূল অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এখনও ব্যবহার করিনি।
হামাসের ওই নেতা বলেন, দখলদার ইসরায়েল আমাদের কয়েকজন কমান্ডারকে শহিদ করলেই আমাদের প্রতিরোধ সংগ্রাম দুর্বল হয়ে পড়বে এটা ভাবা সঠিক নয়। শত্রুপক্ষ এমনটা ভাবলে সেটা তাদের মস্ত বড় ভুল হবে। বাস্তবিক অর্থে স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ প্রতিদিনই শক্তিশালী হচ্ছে এবং হবে।
হামাস মাসের পর মাস লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। গাঁজা সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই হামাস দখলদার ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের পর এবার ‘রামুন’ বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
হামাসের সামরিক শাখা ইয্যাদ্দিন কাস্সাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা জানান, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের রামুন বিমানবন্দরে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ‘আইয়াশ’ এর মাধ্যমে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। গাজা থেকে এই বিমানবন্দরের দূরত্ব মাত্র ২২০ কিলোমিটার। হামাস বলছে বিমানবন্দরটিতে ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
সর্বশেষ খবর, হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, গাজা সীমান্তে দুটি পদাতিক ও একটি সাঁজোয়া ইউনিট মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া সীমান্তে অতিরিক্ত ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে দেশটি।
এনটি