আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় একযোগে স্থল ও বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। বিমান থেকে বোমাবর্ষণ আরো তীব্র করার পর কামান থেকেও গোলা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। পাল্টা রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে হামাস যোদ্ধারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ শিশুসহ নিহত হয়েছে ১১৯ জন। আহত হয়েছে ৬০০ জনেরও বেশি।
পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের তীব্র সংঘাত। দুই পক্ষকে লড়াই থামিয়ে শান্ত হওয়ার বিশ্ব সম্প্রদায়ের আহ্বান কানে তোলেনি কোন পক্ষই। পাল্টা আগ্রাসন আরো তীব্র করেছে দখলদার ইসরায়েল।
বিমান হামলার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণের জন্য ট্যাঙ্ক মোতায়েন করে ইসরায়েল। এরইমধ্যে কামান থেকে গোলাবর্ষণ করছে তারা। ভোরে কামানের গোলা ও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে গাজার উত্তর ও পূর্বাঞ্চল। এরপর নিজেদের বাড়ি ছাড়া শুরু করেছে সীমান্তের কাছে বসবাস করা ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো। জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন অনেকে।
পাল্টা জবাবে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হামাস। লেবানন থেকেও অন্তত তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। হামাসকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে স্থল অভিযানের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
এদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে কঠোর শিক্ষা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে হামাসের এক মুখপাত্র । ফিলিস্তিনজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া।
এছাড়া ইসরায়েলের বহু শহরে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি শহরে ইহুদিদের সিন্যাগগ পুড়িয়ে দিয়েছে আরবরা। চলছে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ।
মার্কিন কংগ্রেসের একমাত্র ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সদস্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অন্যান্য শীর্ষ মার্কিন নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড জানান, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসবে ১৬ মে।
-এটি