সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বিকেলে ফাঁকা শিমুলিয়া ঘাট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে গত কয়েকদিন ধরে বাঁধভাঙ্গা জনস্রোত থাকলেও বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ঈদের আগের দিনের শিমুলিয়া ঘাটের চিত্র ভিন্ন রকম। অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে ঘাট।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় কিছুটা লক্ষ্য করা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ কমতে থাকে। বিকালে ফাঁকা হয়ে যায় ঘাট। বৃহস্পতিবার সকালে পারের জন্য শিমুলিয়া ঘাটে বেশ কিছু যাত্রী, গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষায় ছিল।

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিড বোট চলাচল গত ২৪ এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশে সব ধরনের গণপরিবহনও বন্ধ রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, ঈদকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের বর্তমানে বহরে থাকা ১৫টি ফেরি দিয়েই দিনে ও রাতে যাত্রী পারাপার করানো হচ্ছে।

শুক্রবার ঈদের কারণে ছুটির দিন হওয়ায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রী ও যানবাহনের ও যাত্রী চাপ বাড়ে শিমুলিয়া ঘাটে। মূলত  ঈদকে কেন্দ্র করেই ঘাটে আগের দিনগুলোর তুলনায় স্বাভাবিক।  ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যাত্রীদেরও পার করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব গাড়ি পার করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলেমান জানান, শিমুলিয়া ঘাট থেকে নিষেধ অমান্য করে ট্রলারযোগে যাত্রী পারাপার চলছে। সকাল থেকেই ৩০ থেকে ৪০টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার চলাচল করতে দেখা গেছে। এ নৌরুটে ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পারি জমাচ্ছেন তারা। তবে ট্রলার চালক-মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পদ্মা নদীবক্ষে নৌপুলিশের টহল চলছে।

তিনি জানান, এ নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিড বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্পিড বোট ও লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিগুলোতে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যাত্রীদের কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি বলে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন জানান, শিমুলিয়া ঘাট এলাকা থেকে নিষেধ অমান্য করে যাত্রী বহন করা ট্রলারের মালিক ও চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ফেরি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহীসহ প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ও পারাপার করা হচ্ছে। তবে সাধারণ যাত্রীর চাপ কম।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ