সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ঈদের নামাজ পড়ার পদ্ধতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বছর ঘুরে আমাদের মাঝে আবার হাজির হলো পবিত্র ঈদুল ফিতর।প্রতিটি রোজাদারের জন্য এই ঈদ আনন্দের। আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জন্য দুটি দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারিত করেছেন;একটি হলো ঈদুল ফিতর, আরেকটি হলো ঈদুল আযহা।এই দিনগুলোতে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব তোমার রবের উদ্দেশেই নামাজ পড়ো এবং নহর করো।’ (সুরা আল কাউছার, আয়াত:, ২)

ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজ পড়া অন্যতম আমল।কিন্তু ঈদের নামাজ পড়তে গিয়ে নিয়ম না জানার কারণে আমরা অনেকেই ভুল করে থাকি। ঈদের নামাজের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাজের মতো নয়। যেমন,ঈদের দুই রাকাত নামাজের কোনো আজান, ইকামত নেই। এতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির রয়েছে। সেগুলো আদায়ের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।

তাই সকলের জ্ঞাতার্থে ঈদের নামাজ পড়ার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করার প্রয়াস পাচ্ছি। নিম্নে সেই নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো:-

ঈদের নামাজ আদায় পদ্ধতি: ১.প্রথমত, অন্য স্বাভাবিক নামাজের মতোই তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধবেন। তারপর ছানা পাঠ করবেন।
২.তারপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবেন। প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দেবেন এবং তৃতীয় তাকবিরে হাত বেঁধে ফেলবেন।

৩.তারপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমাম সুরা ফাতিহা পড়ে এর সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলাবেন। ৪.তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই রুকু-সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করবেন। ৫.দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেবেন। প্রতি তাকবিরের সঙ্গে হাত উঠাবেন এবং ছেড়ে দেবেন। তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবেন।

৬.তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই নামাজ শেষ করবেন। ৭.নামাজ শেষে ইমাম মিম্বারে উঠবেন। দুটি খুতবা দেবেন। এ সময় ইমামের খুতবা মনোযোগসহকারে শুনতে হবে। কোনো ধরনের কথা বলা বা অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া যাবে না। ৮.খুতবা শেষে মোনাজাত শেষ করে সবাই ঈদগাহ ত্যাগ করবেন।

আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে সঠিক বুঝে সঠিকভাবে আমল করার তৌফিক দান করুক, আ-মীন।

লেখক, উসমান বিন আ.আলিম মোহাদ্দেস, দারুলউলুম মোহাম্মদপুর কওমী মাদ্রাসা। চাটমোহর, পাবনা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ