আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আরব দেশগুলো যখন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখন মধ্যপ্রাচ্যেরই আরেক দেশ ফিলিস্তিন করছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
ফিলিস্তিনের অলিগলিতে নেই কোনো উৎসবের আমেজ, দোকানপাট বন্ধ এবং রাস্তায় সুনসান নিরবতা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এলাকাটি। আর তাই এ বছর ঈদ উৎসব থেকে বিরত থাকবে ফিলিস্তিনবাসী।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা এ সংঘর্ষের কারণে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বৃহস্পতিবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন বাতিল করেছেন।
ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যম ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতদের সম্মানে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঈদ উদযাপন সীমিত করা ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ফিলিস্তিনবাসী এবার শুধু ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
এদিকে ইসরায়েল আরো আগ্রাসী হয়ে বিমান হামলা চালাচ্ছে, এতে গাজায় অন্তত ৫৩ জন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলে ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবারের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল, অপরদিকে হামাস ও গাজার অন্যান্য স্বাধীনতাকামীরা তেল আবিব ও বিরশিবা এলাকায় বহু রকেট ছোড়ে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
উল্লেখ, ২০১৪ সালের পর এটিই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। সেবার সাত সপ্তাহের যুদ্ধে দুই হাজার ১০০ গাজাবাসী ও ৭৩ ইসরায়েলি নিহত হয়। এবারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।
মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের নিযুক্ত দূত টর ওয়েননেসল্যান্ড টুইটে বলেছেন, ‘সত্বর হামলা বন্ধ করুন। পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছি আমরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব পক্ষের নেতাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।’
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ হলে তার পুরো খেসারত হিসেবে সেখানকার সাধারণ মানুষকেই সব ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। জাতিসংঘ সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে। এখনই সংঘাত বন্ধ করুন।’
এনটি