আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে এ সড়কে অন্যান্য সময়ের তুলনায় যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ বেশি। কোথাও কোথাও গাড়ির গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এ সুযোগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধল্যায় পুলিশ কনস্টেবল সেজে চাঁদাবাজি করছিলেন শরিফুল ইসলাম (২২) নামে এক তরুণ। তবে তাকে গ্রেফতার করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ।
বুধবার (১২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উল্লেখিত এলাকায় একটি মোটরসাইকেলে কথিত তল্লাশির চালানোর সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে একটি অ্যাপাচি মোটরসাইকেল, দুটি মোবাইল ফোন ও পুলিশের একটি ব্যক্তির পরিচয়পত্র।
গ্রেফতার শরিফুলের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার খানসামা বটতলা গ্রামে।
পুলিশ সূত্র জানায়, এদিন মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান উকিল মহাসড়কে টহল দিচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ধল্যা এলাকায় পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলে তল্লাশি করতে দেখেন। বিষয়টি তার সন্দেহ হলে পোশাকধারী ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। ওই ব্যক্তি প্রথমে নিজেকে পুলিশের কনস্টেবল বলে পরিচয় দেন। জানান, সাময়িক বরখাস্ত হয়ে তিনি গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি আরও বলেন, তিনি ২০১৮ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন এবং তার কনস্টেবল নম্বর ক-১৪৮২। তাকে ২০১৯ সালের ১৬ জুন বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও তিনি এসআই হাবিবুর রহমানের কাছে দাবি করেন।
কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ‘বিপি’ নম্বর জানাতে ব্যর্থ হন। তার দেয়া তথ্যে সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, পুলিশের পোশাক পরা শরিফুলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গাজীপুর জেলা পুলিশে যোগাযোগ করা হয়। তথ্য যাচাইয়ে প্রমাণিত হয়েছে সে পুলিশের সদস্য নয়। পুলিশের পোশাক পরে সে মহাসড়কে টাকা আদায় করছিল। তার নামে মির্জাপুর থানায় প্রতারণার মামলা হয়েছে।
এনটি