আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম তেল পাইপলাইন সাইবার হামলায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার জেরে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলার শিকার কলোনিয়াল পাইপলাইন দিয়ে দৈনিক ২৫ লাখ ব্যারেল তেল পরিবহন হয়, যা দেশটির পূর্ব উপকূলীয় এলাকাগুলোর প্রায় ৪৫ শতাংশ ডিজেল, গ্যাসোলিন ও জেট ফুয়েল সরবরাহ করে থাকে।
বিবিসির খবর অনুসারে, গত শুক্রবার একটি সাইবার ক্রিমিনাল গ্যাংয়ের হামলায় পাইপলাইনটি সম্পূর্ণ অফলাইনে চলে যায়। সেটি এখনো পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হয়নি। জরুরি অবস্থা জারির ফলে এখন পাইপলাইনের বদলে সড়কপথে তেল পরিবহন করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম তেল পাইপলাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সোমবার তেলের দাম দুই থেকে তিন শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। তবে পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
একাধিক সূত্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, এই র্যানসমওয়্যার হামলা চালিয়েছে ‘ডার্কসাইড’ নামে পরিচয় দেয়া একটি ক্রিমিনাল গ্যাং। তারা গত বৃহস্পতিবার কলোনিয়াল পাইপলাইনের নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে প্রায় ১০০ গিগাবাইট ডেটা দখল করে।
এরপর হ্যাকাররা কিছু কম্পিউটার ও সার্ভারের ডেটাও ‘লক’ করে দেয় এবং শুক্রবার এগুলোর বিনিময়ে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিয়ে তথ্যগুলো তারা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
কলোনিয়াল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কার্যক্রম ফের শুরুর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। রোববার রাতে তারা জানিয়েছে, তাদের চারটি প্রধান লাইন এখনো বন্ধ। তবে টার্মিনাল ও বিতরণ পয়েন্টগুলোর মধ্যে কয়েকটি ছোট লাইন চালু রয়েছে।
এমডব্লিউ/