মোস্তফা ওয়াদুদ: বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ৪৪ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনো অনলাইনে ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের পর থেকেই অনলাইনে প্রকাশের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ যুবায়ের। আজ ৫ টা ৪৫ মিনিটে এক মুঠোফোন আলাপে আওয়ার ইসলামের এ প্রতিবেদককে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের সার্ভারে সাময়িক সমস্যা করছে। ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের পর থেকেই। আশা করছি, বাদ মাগরিবের মধ্যেই অনলাইনে শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত রেজাল্ট খোঁজে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
আজ সোমবার (১০ মে) দুপুর ৩ টা ২০ মিনিটে রাজধানীর কাজলার পাড় (ভাঙ্গাপ্রেস) বেফাক মিলনায়তনে ৪৪ তম কেন্দ্রীয় বেফাক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ ফলাফল ঘোষণা করে বেফাক। এ সময় বেফাক সভাপতি ও হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের হাতে ফলাফল তুলে দেন বেফাকের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আমিনুল হক। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা সফিউল্লাহ, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, (ভারপ্রাপ্ত) মহাপরিচাল মাওলানা মুহাম্মদ যুবায়ের, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আমিনুল হক, বারিধারা মাদরাসার মাওলানা মকবুল আহমদ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আল ফরিদী, প্রমূখ।
এ সময় স্বাগত বক্তব্যে বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, মুরুব্বিদের নির্দেশনায় দায়িত্বশীলদের অক্লান্ত মেহনতের ফলে আমরা ফলাফল প্রকাশ করতে পেরেছি। এজন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
বেফাক সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, আল্লাহর কাছে শোকর যে তিনি আমাদের দ্বারা এ কাজ নিয়েছেন। যারা কাজকে এ পর্যন্ত এনেছেন তারা অনেক মেহনত করেছেন। তাদের মেহনতের ফলে যখন কাজ এ পর্যন্ত আসছে, তাহলে আমরা বলতে পারি যে, আল্লাহ তায়ালা সবার মেহনত কবুল করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা এ কাজ দীনের কাজ মনে করি। ইখলাসের সাথে করি। কোনো অহঙ্কার নেই। আল্লাহ যেনো আমাদের ইখলাসের সাথে কাজকে কবুল করে নেন।
নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের পর ফলাফল ঘোষণা করেন বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আমিনুল হক। এ বছর প্রকাশিত ফলাফলে বেফাকের মোট গড় পাসের হাড় ৭৪.৪%। ফজিলত মারহালায় গড় পাসের হার পুরুষ ৮০.৩৪%, মহিলা ৬৮.৫০%, সানাবিয়া উলইয়ায় গড় পাসের হার পুরুষ ৭২.৯৪%, মহিলা ৫৬.২৫%, মুতাওয়াসসিতাহ মারহালায় গড় পাসের হার পুরুষ ৮৫.২৭%, মহিলা ৬৮.৬৪%,
ইবতিদাইয়্যা গড় পাসের হার পুরুষ ৭৫.৬১%, মহিলা ৬৬.৭৭%, হিফজ মারহালায় ৯৫.১৫%, ইলমুজ তাজভীদ ও কেরাত মারহালায় ৯০.৭৪%।
সারাদেশে মেধাতালিকায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করেছেন যারা
ফজিলত মারহালা
পুরুষ শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ, শিবচর মাদরাসার আবদুল জলিল, তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫।
২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ৩ জন তারা হলো, নারায়নগঞ্জ জেলার দারুল উলুম, মাদানীনগর মাদরাসার আতিকুল ইসলাম আল ফাহিম, প্রাপ্ত নম্বর ৭৫৯। মাদারীপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ, শিবচর মাদরাসার মাে. ইয়াকুব আলী, তার নম্বর ৭৫৯ এবং ঢাকা জেলার জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসার খালিদ মুহিউদ্দিন, প্রাপ্ত নম্বর ৭৫৯।
৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২ জন। তারা হলাে, ঢাকা জেলার- জমিয়াতু ইব্রাহিম, সাইনবাের্ড মাদরাসার মাে. মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, প্রাপ্ত নম্বর ৭৫৫। অন্যজন ঢাকা জেলার বাইতুল উলুম, ঢালকানগর মাদরাসার গােলাম মোস্তফা, প্রাপ্ত নম্বর, ৭৫৫। মহিলা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে যশাের জেলার জামিয়া নিয়ামাতিয়া মহিলা মাদরাসার মারজান। প্রাপ্ত নম্বর ৬৫১। ২য় স্থান অধিকার করেছে হবিগঞ্জ জেলার আল জামেয়াতু তায়্যিবা রা. মহিলা মাদরাসার নুর জাহান আক্তার সাঈদা। প্রাপ্ত নম্বর ৭৪৬। ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২ জন। তারা হলাে, ঢাকা জেলার ফাতেমাতুজ জুহরা রা. মহিলা মােহাম্মদপুর মাদরাসার জুয়াইরিয়া সারা। প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৩। অন্য জন নারায়নগঞ্জ জেলার বাইতুল ফালাহ মহিলা মাদরাসার মােসাম্মৎ মারজিয়া আক্তার রিসা, প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৩।
সানাবিয়া উলয়া মারহালা (উচ্চ মাধ্যমিক)
পুরুষ শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ফেনী জেলার জামিয়া রশিদিয়া মাদরাসার মাে. আ. কাইয়ুম, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৮। ২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২ জন। তারা হলাে, কুমিল্লা জেলার দারুল উলুম বরুড়া মাদরাসার মাে. রহমত উল্লাহ, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৫। অন্যজন ঢাকা জেলার লালমাটিয়া মােহাম্মদপুর মাদরাসার মুহা. আরিফ বিল্লাহ, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৫, ৩য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার উম্মুল কোরা, মােহাম্মদবাগ মাদরাসার মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। মহিলা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার জামিয়া মিল্লিয়া মাদানিয়া, মিরপুর আজমা মহিলা মাদরাসার অফিফা, প্রাপ্ত নম্বর ৬৭২। ২য় স্থান অধিকার করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার ইব্রাহীমিয়া আমিনিয়া মহিলা মাদরাসার মােসা. আয়েশা সিদ্দিকা, প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৫, ৩য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২ জন। তারা হলাে, কুমিল্লা জেলার ইকরা লাকসাম মহিলা মাদরাসার নাছরিন সুলতানা শিফা, প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৩। অন্যজন হলাে ঢাকা জেলার জামিয়া মিল্লিয়া মাদানিয়া, মিরপুর আজমা মহিলা মাদরাসার সাদিয়া রহমান, প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৩।
মুতাওয়াসসিতাহ মারহালা (নিম্ম মাধ্যমিক)
পুরুষ শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে ময়মনসিংহ জেলার দারুল উলুম নিযামিয়া মধ্যবাড়েরা মাদরাসার মাহবুব উল্লাহ মুআজ, প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার জামিয়া আরাবিয়া রাব্বানিয়া মাদরাসার মাহমুদুর রহমান, প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।
তৃতীয়স্থান অধিকার যৌথভাবে ৬ জন। ১. ত্বলহা বিন শাকির। দারুল উলুম নিযামিয়া মধ্যবাড়েরা মােমেনশাহী। ২. ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ, ঢাকার ফখরুল ইসললাম। ৩. মাে. সাঈদ আহমাদ, জামিয়া রব্বানীয়া জালকুড়ি নারায়নগঞ্জ। ৪. মুহাম্মদ কিফায়াতুল্লাহ, জামিয়া রব্বানীয়া জালকুড়ি না.গঞ্জ। ৫. আব্দুল্লাহ বিন উমর, জামিয়া রব্বানীয়া, জালকুড়ি, না. গঞ্জ। ৬. মাহদী হাসান সিয়াম, মারকাযু ফয়যিল কুরআন, মিরপুর, ঢাকা। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬।
বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার তালীমুল কুরআন বালিকা মাদরাসার মােসা. মালিহা আক্তার ফাতেমা, প্রাপ্ত ৬৮৭। ২য় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২জন। উম্মে হানী, আয়েশা সিদ্দীকা ঢালকানগর মাদরাসা ঢাকা। মােসা. সাওদা জান্নাত, জামিয়াতুল ইসলাহ ঠাকুরগাঁও, তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৫
তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে যৌথ ভাবে ২ (দুই) জন। মোসা. যানজাবিল। খাতুনে জান্নাত ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসা, বি-বাড়ীয়া। সাইদা আক্তার, জান্নাতুন নিসওয়ান মাদরাসা, মনােহর বাজার শরীয়তপুর।
ইবতিদাইয়্যাহ মারহালা (প্রাইমারী)
পুরষ শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে জামিয়া রাব্বানিয়া রাব্বানিনগর, সিদ্ধিরগঞ্জ মাদরাসার মুহাম্মদ আবদুর রহীম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।
জামিয়া কোরআনিয়া ইমদাদিয়া ফুলছোঁয়া হাজিগঞ্জ চাঁদপুর মাদরাসার মুহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম ৬৮৮ নম্বর পেয়ে ২য় স্থান অধিকার করেন। এছাড়াও ২য় স্থান অধিকার করেছেন জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদারীপুর শিবচর মাদরাসা থেকে মুহাম্মদ ওমর ফারুক। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।
তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন জামিয়া রাব্বানিয়া আরাবিয়া রাব্বানিনগর সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মুহাম্মদ কায়সার। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। তৃতীয় স্থান অধিকারীক অন্য জন জামিয়া কোরআনিয়া বকচর যশোর থেকে মুহাম্মদ মাহফুুজুর রহমান। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭।
বালিকা শাখায় মেধা তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার আয়েশা সিদ্দীকা মহিলা যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুবাশ্বিরা বিনতে মুর্শেদ। প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৩। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২ জন। তারা হল শরীয়তপুর জেলার আলহাজ্ব সফুরা বেগম মহিলা মাদরাসার আশেয়া। প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৩। একই মাদরাসার মােসাম্মৎ মিনারা প্রাপ্ত নাম্বার ৬৭৩। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে যৌথভাবে ২ জন। তারা হল, ঢাকা জেলার জামিয়া মিল্লিয়া আয়েশা ছিদ্দিকা (রা.) মাদরাসার আফিয়া আখতার নূহা। প্রাপ্ত নম্বর ৬৭২। অন্যজন কুমিল্লা জেলার আয়েশা ছিদ্দিক্বা (রা.) মহিলা মাদরাসার মোসা. লাবিবা আক্তার নাজিবা। প্রাপ্ত নাম্বার ৬৭২।
এছাড়া তাহফীজুল কুরআন এর ৭২ টি গ্রুপে (প্রতি গ্রুপে ৩জন করে) ও “ইলমুত তাজবীদ ওয়াল ক্বিরাআত বিভাগে ৩টি গ্রুপে (প্রতি গ্রুপে ৩জন করে) পৃথক পৃথক ভাবে মেধা তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন অনেকেই।
ফজিলত মারহালা
মুমতাজ: হয়েছেন মোট ১৫৮১ জন। পুরুষ ১২৬৫। নারী ৩১৬ জন।
জায়্যিদ জিদ্দান:মোট ৪৮৪০ জন। পুরুষ ৩১০৪ জন। নারী ১৭৩৬।
জায়্যিদ: মোট ৭০২৩ জন। পুরুষ ৩৮০৪। নারী ৩২১৯জন।
মকবুল: মোট ৮৩৫ জন। পুরুষ ৩৬৫৯। নারী ৪৩৭৬।
সানাবিয়্যা উলইয়া
মুমতাজ: হয়েছেন মোট ১৭৫৭ জন। পুরুষ ১৪৭০। নারী ২৮৭ জন।
জায়্যিদ জিদ্দান:মোট ৩৯৮৭ জন। পুরুষ ২৫৬ জন। নারী ১৪৬১।
জায়্যিদ: মোট ৫৫৩৪ জন। পুরুষ ২৭৯৭। নারী ২৭৩৭ জন।
মকবুল: মোট ৭৭০৮ জন। পুরুষ ২৬৮২। নারী ৫০২৬।
মুতাওয়াসসিতাহ
মুমতাজ: হয়েছেন মোট ৮৪৭৬ জন। পুরুষ ৬৫০৯। নারী ১৯৬৭ জন।
জায়্যিদ জিদ্দান:মোট ১০০২৩ জন। পুরুষ ৫১৭১ জন। নারী ৪৮৫২।
জায়্যিদ: মোট ১১০৫৮ জন। পুরুষ ৩৮৮৮। নারী ৭১৬৬ জন।
মকবুল: মোট ১২০৩৫ জন। পুরুষ ৩৪৭১। নারী ৮৫৬৪ জন।
ইবতিদাইয়্যা
মুমতাজ: হয়েছেন মোট ৪২৮৩ জন। পুরুষ ৩৩৪৮। নারী ৯৩৫ জন।
জায়্যিদ জিদ্দান:মোট ৮২০৯ জন। পুরুষ ৪৫৫৮ জন। নারী ৩৬৫১।
জায়্যিদ: মোট ৯৮৯১ জন। পুরুষ ৩৯১১। নারী ৫৯৮০ জন।
মকবুল: মোট ২৩৭৮২ জন। পুরুষ ৬৭৫৮। নারী ১৫০২৪ জন।
হিফজুল কুরআন
মুমতাজ: হয়েছেন মোট ১০৮৭২ জন।
জায়্যিদ জিদ্দান: মোট ৪১১৯ জন।
জায়্যিদ: মোট ২৮০৪ জন।
মকবুল: মোট ২৩২৮।
ইলমুত তাজবিদ ওয়াল কিরাত
মুমতাজ: হয়েছেন মোট ৯৩ জন।
জায়্যিদ জিদ্দান: মোট ২৮৬ জন।
জায়্যিদ: মোট ৩১০ জন।
মকবুল: মোট ২১৩।
উল্লেখ্য, বেফাকের ৪৪ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হয়েছিলো গত ১৮ মার্চ ২০২১। শেষ হয়েছে ২৫ মার্চ ২০২১। সারাদেশে বেফাকের ২ লক্ষ ৩০ হাজার নিবন্ধিত পরীক্ষার্থীর থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয় পরীক্ষায়। এবছর বেফাক শিক্ষার্থীদের খাতা দেখার জন্য করা হয়েছিল নতুন নিয়ম। সারাদেশকে ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছিলো। মুমতাহিনগণ নির্দিষ্ট জোনে এসেই দেখতেন পরীক্ষার্থীদের খাতা। কিন্তু করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে এবারও বাড়িতে বসেই খাতা দেখার সিস্টেম চালু করে বেফাক। এরপর চূড়ান্তভাবে নিরীক্ষণ শেষ করে আজ সোমবার ফলাফল প্রকাশ করলো বেফাক।
আরো পড়ুন-
যেভাবে দেখবেন বেফাকের ৪৪ তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল
বেফাকের ফলাফল: সারাদেশের মেধাতালিকায় ১ম, ২য় ও ৩য় যারা
ওআই/নুরুদ্দিন তাসলিম/মোস্তফা ওয়াদুদ