আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল।
রবিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় এ খবর নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম।
শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক জানান, ‘সারাদিন ফেরি বন্ধ ছিল। এখনও বন্ধ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে।’
এদিকে, গতকাল শনিবার দিনে তিনটি ফেরি ও রবিবার দিনে দুটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে যায়। এদিকে শনিবার রাতেও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য ঘাটের সবগুলো ফেরি চলে। সে সময় জরুরি অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি হাজার হাজার যাত্রী পদ্মা পার হয়। কিন্তু রবিবার রাতে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, লঞ্চ, স্পিডবোট আগে থেকেই বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীরা। তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিএনজি, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার যোগে ঘাটে পৌঁছান। ঘাটের প্রবেশমুখ থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বিজিবি মোতায়েন থাকলেও বিভিন্ন পথে হেঁটে ঘাটের দিকে যাত্রীদের যেতে দেখা গেছে। কখনও ঘাটের আশপাশের এলাকা থেকে মাছ ধরার ট্রলারে চেপে পদ্মা পাড়ি দেওয়ার চেষ্টাও করেন যাত্রীরা। শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কান্দিরপাড়া থেকে মাছ ধরার ট্রলার দিয়ে পদ্মানদী পার হচ্ছেন ঘরমুখী মানুষ। পদ্মার ওপারে শরীয়তপুরের হাজরার চরে অনেক যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই চর থেকে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা গেছে তাদের। তবে, সারাদিন নৌপুলিশের অভিযান চলেছে। এ সময় ১৮টি ট্রলার জব্দ করার খবর নিশ্চিত করেছেন মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির।
এদিকে, মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুর রায়হান বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধেই ফেরি বন্ধ করার খবর জানতে পেরেছি। শিমুলিয়া ঘাটে বেশ কিছু পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে। সেগুলো পারাপারের জন্য ফেরি চালু করতে গেলে ঘাটে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা ফেরিতে উঠে পড়েন।’
এনটি