আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৭০০ ডলার থেকে বেড়ে ১৮০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ঈদের পরপরই দেশীয় বাজারে দাম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, স্বর্ণের দাম বিশ্ববাজারে বাড়ালেও ঈদের আগমুহূর্তে দেশীয় বাজারে দাম বাড়ছে না। তবে বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ঈদের পরপরেই দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।
বিশ্ববাজারের প্রতিদিন স্বর্ণের দাম ওঠা-নামা করায় দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়। চলতি বছরের মার্চে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ বড় দরপতনের দেশীয় বাজারে দুই দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। ফের বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১০০ ডলারের উপরে বেড়েছে। দেশীয় বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বিশ্ববাজারের সঙ্গে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করতে চাইলে প্রতি ভরিতে পাঁচ হাজার টাকা বাড়াতে পারে। স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঈদের আগমুহূর্তে নয়, তবে ঈদের পরে সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি গত ১০ মার্চ ভরিতে স্বর্ণের দাম ২০৪১ টাকা কমায়। ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৫৭ হাজার ২১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণ ৪৬ হাজার ৮৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এখন দেশীয় বাজারে এই দামে স্বর্ণে বিক্রি হচ্ছে।
গত ১০ মার্চ যখন দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয় তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল প্রায় ১৭০০ ডলার। বর্তমানে স্বর্ণের দাম বেড়ে প্রায় সাড়ে ১ হাজার ৮০০ ডলারের কাছাকাছি চলে এসেছে।
এনটি