আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকে শনিবার সকালে আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরকভর্তি একটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘাঁটিতে বর্তমানে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছেন। হামলায় কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইরাকি সামরিক বাহিনী ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
ইরাকে এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে চারবার মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটলো। এসব হামলার জন্য ইরানপন্থী সংগঠনগুলোকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র কর্নেল ওয়েইন ম্যারোটো এক টুইটার পোস্টে বলেন, ‘প্রতিটি হামলা ইরাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ, আইনের শাসন এবং ইরাকের জাতীয় সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিমান রাখার একটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বারের মতো প্রকাশ্যে নিশ্চিত করল যে ইরাকের ভেতরে হামলায় ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছে।
গত এপ্রিলে, বিস্ফোরকভর্তি একটি ড্রোন বিমানবন্দরের সামরিক অংশে মার্কিন জোটের ইরাকি সদর দফতরে হামলা চালায়। কুর্দিদের আঞ্চলিক রাজধানী আরবিলে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার এই ধরনের ফলে ইরাকে মার্কিন জোটের দুশ্চিন্তা বেড়ে গেছে। কারণ ঘাঁটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যে সি-র্যাম বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে, এই ড্রোন তা এড়াতে সক্ষম।
তবে ইরাকি সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, আরবিল হামলাই ইরাকে প্রথম কোনো ড্রোন হামলা নয়।
তিনি বলেন, ‘আরবিল হামলার আগেও ইরানপন্থী সংগঠনগুলোর দ্বারা একাধিকবার ড্রোন ব্যবহৃত হয়েছে।’
গত ১৮ মাসে জোটবিরোধী গ্রুপগুলো রকেট ও অন্যান্য হামলা একটুও কমায়নি। গত রোববারের (২ মে) পর থেকে শনিবার পর্যন্ত আইন আল-আসাদের ঘাঁটিতে দুটি রকেট, বালাদ বিমান ঘাঁটিতে ছয়টি রকেট ও বাগদাদ বিমানবন্দরে দুটি রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার সকল জায়গাতেই মার্কিন জোটের সেনারা অবস্থান করছিল।
বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস ও জোটের সরবরাহের গাড়িতেও একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে।
এনটি