আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে আলেমদের অনেক অবদান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি আলেম-ওলামা ও সুধীজনরা। গতকাল (২১ এপ্রিল) বুধবার রাতে তারাবিহ নামাজের পর দারুল উলুম নিউইয়র্কে বাংলাদেশে আলেম-ওলামা ও বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা, দোয়া ও পরামর্শ সভায় এ মন্তব্য করেন তারা।
এতে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ইমাম-ওলামা কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানহাটন আস সাফা মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রফিক আহমেদ রেফাহি, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম ও জামিয়া কোরআনিয়া একাডেমির প্রিন্সিপাল হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম।
বিশেষ এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আন নূর কালচালাল সেন্টারের প্রিন্সিপাল মুফতি মোহাম্মদ ইসমাঈল, দারুল উলুম নিউইয়র্কের শায়খুল হাদিস মাওলানা আজিজুর রহমান, দারুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ-এর মুহাদ্দিস মাওলানা হাম্মাদ সাহেব, মসজিদ মিশন সেন্টারের ইমাম হাফেজ রফিকুল ইসলাম, আমেরিকান মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা আতাউর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন বায়তুল হামদ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাওলানা আনাস উদ্দিন, দারুল উলুমের শিক্ষক হাফেজ জুবায়ের আহমেদ নদভী, কমিউনিটি লিডার ইউশা মাহবুব, মুহাম্মদ নুর এবং আইটিভি ইউএসএ এর সিইও মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
বৈঠকে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি আলেম-ওলামারা বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে আলেমদের অনেক অবদান রয়েছে। তাছাড়া প্রবাসেও বিভিন্ন কর্মকার মাধ্যমে আলেমরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন। সরকারকে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। আলেমদেরকে দেশের সাধারণ মানুষ সম্মানের চোখে দেখে থাকে, তাই তাদের অসম্মান করাটা দুঃখজনক।
আলেমদের এমন গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই সম্মানিত এসব আলেমদের মুক্তির দাবি করা হবে। বৈঠক শেষে দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম।
এমডব্লিউ/