এম. মিজানুর রহমান
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি>
বান্দরবানের লামায় ওলিউল্লাহ স্বাধীন (২০) নামে একজন হাফেজে কুরআনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার রূপসীপাড়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ড (গহীন জঙ্গল) সিংঝিরি পাহাড়ের উপর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত হাফেজ ওলিউল্লাহ সাধিন (২০) দেবিদ্বার উপজেলার ফতেয়াবাদ ইউপির মুহা. মোবারক হোসেনের ছেলে।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল বিকেলে অপহরণকারী দুজনকেই গ্রেফতার করেছে লামা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ফয়েজ আহমদ (৩৮), পিতা. আব্দুল মালেক, ষোলনল ইউনিয়ন বুড়িচং থানা কুমিল্লা এবং লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউপির মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা (৫০) এর মেয়ের জামাতা। মুহা. আরিফ (১৭) দেবিদ্বার উপজেলার ফতেয়াবাদ ইউপির মো. আব্দুল গনির ছেলে।
নিহত স্বাধীনের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল বলেন, গত ২২মার্চ আমার ভাই বন্ধুর বাসায় বেড়াতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার ২/৩দিন পর অজ্ঞাত ব্যক্তি শান্তিবাহিনী পরিচয় দিয়ে কল দেয় এবং তারই ইমো থেকে হাত পা বাঁধা অপহরণের বিভিন্ন ছবি দিয়ে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু আমার ভাইয়ের সাথে কথা বলতে চাইলে মোবাইল কেটে দিয়ে বন্ধ করে ফেলে। পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে ২৪ মার্চ বুড়িচং থানায় একটি জিডি করি।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার মূল হোতা ফয়েজ আহমদের শ্বশুরবাড়ি থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের কথা স্বীকার করে হাফেজ স্বাধীনকে গেলো ২৫-মার্চ শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসময় তাদের দেয়া তথ্যমতে দিবাগত রাত ২টাই শিংঝিরি গভীর জঙ্গলে পুঁতে রাখা মাটির নিচ থেকে স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনের লাশের সত্যতা নিশ্চিত করেন তার দুই বড় ভাই। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিহতের পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. মিজানুর রহমান। এছাড়াও লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আসিফ মাহমুদ, থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মুহা. আলমগীর, পুলিশের উপ-পরিদর্শক মুহা. রাশেদ, আশ্রাফুল ইসলাম, ত্রিদীপ বড়ুয়া, মুহা ফরিদ, রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু তাহেরসহ লামা থানা পুলিশের অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ সদস্য অভিযানে অংশ নেন।
-এএ