মোস্তফা ওয়াদুদ: প্রতিবছরের মতো এবছরও রমজানের ভিতরেই বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নির্দেশেই সর্বোচ্চ এ চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেফাকের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আমিনুল হক।
আজ (২১ এপ্রিল) বুধবার আওয়ার ইসলামের সাথে এক ফোনালাপে বেফাকের পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক মুফতি আমিনুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বেফাক পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখা শেষ হয়েছে। লকডাউনের কারণে ঘরে বসেই মুমতাহীন বা পরীক্ষকরা পরীক্ষার খাতা দেখেছেন। এরপর সারাদেশকে ৪০ টি জোনে ভাগ করে খাতা জমা নেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য বছর রমজানের দুইদিন আগে থেকেই খাতা দেখার নিরীক্ষণ শুরু হলেও এবছর লকডাউনের কারণে এখনও শুরু করা যাচ্ছে না। তবে আগামী শনিবার (২৪ এপ্রিল) থেকে বেফাকের নির্দিষ্ট নিরীক্ষকদের খাতা নিরীক্ষণ করার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে বেফাকের ২ লক্ষ ৩০ হাজার নিবন্ধিত পরীক্ষার্থীর থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয় বেফাক পরীক্ষায়। এবছর বেফাক শিক্ষার্থীদের খাতা দেখার জন্য করা হয়েছিল নতুন নিয়ম। সারাদেশকে ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছিলো। মুমতাহিনগণ নির্দিষ্ট জোনে এসেই দেখতেন পরীক্ষার্থীদের খাতা।
কিন্তু করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে আবারও বাড়িতে বসেই খাতা দেখার সিস্টেম চালু করে বেফাক। এদিকে মুমতাহিনগণ খাতা দেখা শেষ করলে এতোমধ্যে সেগুলো বেফাকের কেন্দ্রীয় অফিসে এসে পৌঁছেছে।
এমডব্লিউ/