আওয়ার ইসলাম: চীনে উইঘুরদের উপর চালানো নির্যাতন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
গত সোমবার সংস্থাটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরে ওই অঞ্চলে ব্যাপক নির্যাতনের জন্য সমন্বিত তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উত্তরপশ্চিম জিনজিয়াংয়ের নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু উইঘুর ও অন্যান্য তুর্কি মুসলমানদের উপর চীন মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তাদের গণআটক, নির্যাতন, সাংস্কৃতিক নিপীড়নসহ অন্যান্য অপরাধের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি দায়ী।
হিউম্যান রাইটস ওয়ার্চের নতুন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
‘তাদের বংশানুক্রম ভেঙে দেওয়া ও শিকড় উপড়ে ফেলার নথিভুক্ত নিপীড়নের পরিসীমা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলমানদের গুম, ব্যাপক নজরদারি, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নকরণ, চীনে ফিরে আসতে বাধ্য করা, যৌন সহিংসতা ও বংশবৃদ্ধি করার অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।
স্টানফোর্ড ল’ স্কুলের হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড কনফ্লিক রেজাল্যুশন ক্লিনিকের সহায়তায় প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। এতে বলা হয়, তুর্কি মুসলমানদের ওপর বেইজিংয়ের নিপীড়ন নতুন কোনো পরিস্থিতি না, এটা এখন নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
রাজনৈতিক শিক্ষা ক্যাম্প, বিচারবহির্ভূত আটক কেন্দ্র, কারাগারসহ ৩০০ থেকে ৪০০ স্থাপনার মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষকে বন্দি রাখা হয়েছে।
আটক বাবা-মায়েদের শিশু সন্তানদের চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে রাখা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে বেইজিংয়ের ধরপাকড়র তীব্র রূপ নিয়েছে। চীনে যত মানুষ আটক হয়েছেন, তার ২১ শতাংশ হলেন উইঘুর মুসলমান। যদিও তারা চীনের মোট জনসংখ্যার এক দশমিক পাঁচ শতাংশ।
প্রথম পাঁচ বছরের তুলনায় গত অর্ধদশকে আটকের পরিমাণ ৩০৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে অঞ্চলটির দুই-তৃতীয়াংশ মসজিদ ধ্বংস করতে বিভিন্ন অজুহাত ব্যবহার করেছে চীন সরকার।
এনটি