আওয়ার ইসলাম: চলমান লকডাউনে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসক, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাদানুবাদের ঘটনার পরে এবার এক নারী আইনজীবীর সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়েছে।
সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) প্রবেশের সময় মূল ফটকের সামনে আইনজীবী নারগিস ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে এ বাগবিতণ্ডা হয়। ঘটনাটির ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা যায়, আইনজীবী ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে প্রবেশের সময় পুলিশ তার পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। এ সময় নারী আইনজীবী তার গলায় আইডি কার্ড রয়েছে বলেন এবং সিএমএম-এর কাছে জিজ্ঞেস করতে বলেন তিনি কে। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা তাকে মুখ দিয়ে বলতে বলেন তিনি কে। এসব নিয়ে দুজনের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর আরেক আইনজীবী এসে বলেন, উনি এখানকার সিনিয়র আইনজীবী। আমাদের ভার্চুয়াল কোর্ট চলছে। এরপর একাধিক আইনজীবী এসে ঘটনার রেশ টানেন।
পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার প্রসঙ্গে আইনজীবী নারগিস পারভীন মুক্তি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সোমবার ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য বাসা থেকে বের হই। আমাকে একবার পোস্তগোলা ব্রিজের সামনে পুলিশ সিএনজি থেকে নামিয়ে দেয়। তারপর আমি অনেক পথ হেঁটে রিকশা নিয়ে রায় সাহেব বাজারের সামনে এলে আবারও রিকশা থেকে নামিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর হেঁটে সিএমএম আদালতের মেইন গেটের সামনে আসি। তখন আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেয় না পুলিশ। জিজ্ঞেস করে আমি কে? অথচ আমার গলায় আইনজীবীর আইডি কার্ড। আমি ওই পুলিশকে বারবার বললাম আমি আইনজীবী, আমার গলায় আইডি কার্ড রয়েছে। তাছাড়া আমি অসুস্থ, অনেক পথ হেঁটে এসেছি। তারপরও আমাকে এভাবে তর্কে জড়ালেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আদালত ভার্চুয়াল হলেও আদালতের পেপারস, ডকুমেন্টস শারীরিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে জমা দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের আদালতে যেতে হয়। আমার প্রশ্ন, আইনজীবীদের আইডি কার্ড সঙ্গে থাকার পরেও পুলিশ কেন এত হয়রানি করবে?’
এদিকে, গত রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সরকারি বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। এদিন দুপুরে তিন পক্ষের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভাইরাল ভিডিও পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এনটি