আওয়ার ইসলাম: বছর পার হতে চলেছে, কিন্তু পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনের সঙ্গে ভারতের উত্তাপ কমছেই না। বলা যায়, ১১ দফা বৈঠকের পরেও বরফ গলেনি।
চীন হামলা শুরু করার আগে সেনারা যে অবস্থানে ছিলেন, সেই পুরনো অবস্থানে আর ফিরতে রাজি নয় বেইজিং। এরইমধ্যে জানা গেছে, তিব্বতিদের নিয়ে নতুন বাহিনী গড়ছে চীন। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, চীনা সেনাদের তরফে রীতিমতো তিব্বতের গ্রামে গ্রামে ঘুরে সেনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বেইজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির শেষ বৈঠক হয়েছিল ৯ এপ্রিল। সেই বৈঠকে চীন জানিয়ে দিয়েছিল, হটস্প্রিংস এবং গোগরা পোস্ট থেকে এখনই সেনা সরাতে রাজি নন তারা। এ মুহূর্তে ওই দুই পোস্ট নিয়ে দুই দেশের তীব্র মতানৈক্য রয়েছে। যে সমস্যার সমাধান হওয়ার এখনও কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই তিব্বতিদের নিয়ে চীনের নতুন বাহিনী গঠনের খবরে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি প্যাংগংয়ে আবার হামলা চালাতে পারে চীন?
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানিয়েছে, তিব্বতের অতিরিক্ত উচ্চতায় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল চীনা সেনাকে। অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তাছাড়া পাহাড়ে উচ্চতাজনিত আরও যে ধরনের সমস্যা হয়, সব কিছুতেই কাবু হচ্ছিলেন চীনা সেনারা। সেই কারণেই এবার তিব্বতিদের সেনাবাহিনীতে নিতে চাইছে চীন।
কেননা, অতিরিক্ত উচ্চতা কিংবা সেখানকার হাড় কাঁপানো ঠান্ডা- এসব প্রতিকূলতায় তিব্বতিদের সমস্যা হয় না। আর এর মাধ্যমে ভারত এবং তিব্বতিদের চীন বার্তাও দিতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।
চীনের সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ভারতের। ভারতের অভিযোগ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু জায়গায় ভারতের জমি দখল করে রেখেছে চীনা বাহিনী। কিন্তু সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র প্যাংগং হ্রদ-সংলগ্ন এলাকাতেই সীমিত ছিল। পরে লাদাখের দেপসাং সমতল, গোগরা-হটস্প্রিং নিয়ে আলোচনা হলেও বরফ গলেনি। সূত্র: হটস্প্রিংস ও গোগরা পোস্ট
-এটি