মুফতী সুহাইল আবদুল কাইয়ূম।।
রাত বাকী আছে ভেবে সেহরি খাওয়ার বিধান
রাত বাকী আছে মনে করে কেউ সেহরি খেতে থাকল, পরে জানা গেল সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার পরও সে খেয়েছে, তাহলে তার সেই দিনের রোযা হবে না। পরবর্তীতে কাযা করতে হবে। কাফফারা দিতে হবে না। তবে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার জন্য পানাহার করার অনুমতি নেই।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৪।
সেহরি খেতে না পারলে না খেয়েই রোযা রাখবে
সেহরি খাওয়া সুন্নাত; ফরয বা ওয়াজিব নয়। অতএব ঘুম না ভাঙ্গা বা অন্য কোনো কারণে সেহরি খেতে না পারলে না খেয়েই রোযার নিয়ত করবে। সেহরি না খাওয়ার কারণে রোযার সাওয়াব একটুও কমবে না। এমনিভাবে সাহরী খেতে না পারার কারণে রোযা ছেড়ে দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।
-ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ : ৬/৪৯৬,
রদ্দুল মুহতার : ২/৪১৯, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/২০০
সেহরি খাওয়ার উত্তম সময়
সেহরির মুস্তাহাব সময় হলো, সুবহে সাদিকের কিছু পূর্বের সময়। অর্ধ রাতের পর থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময়ে সেহরি খাওয়া
মুস্তাহাব। তবে একেবারে শেষ সময় খাওয়া উত্তম। ফুকাহায়ে কেরাম লিখেছেন, রাতকে ছয় ভাগ করে শেষভাগে সেহরি খাওয়া উত্তম এবং শেষভাগের শেষ অংশে খাওয়া অতিউত্তম।
লেখক: শিক্ষাসচিব ও নায়েবে মুফতী জামিআ ইসলামিয়া ঢাকা।
এনটি