মুফতী রফিকুল ইসলাম আল মাদানী।।
রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবে, ইসলামে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপনের সুযোগ নেই।
যারা চাঁদ দেখবে অথবা এমন অঞ্চলে থাকবে যেখানে চাঁদ দেখা সম্ভব তারা রোজা শুরু করবে। আর যেই অঞ্চলে ওই দিন চাঁদ দেখা সম্ভব না ওই অঞ্চলের কেউ সেদিন রোজা শুরু করবে না। যারা যেদিন চাঁদ দেখবে তখন থেকে তারা রোজা শুরু করবে। এভাবেই ঈদ উদযাপন করবে ও শবে বরাত শবে কদর ইত্যাদি পালন করবে।
অতএব সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে রোজা শুরু করা বা এ অনুযায়ী ঈদ পালন করা ইসলামী শরীয়তের বিধান মত সঠিক নয়।
সহীহ মুসলিমের একটি বর্ণনার সারাংশ হলো: ইবনে আব্বাস র.বলেন, সিরিয়ায় চাঁদ দেখা মদীনাবাসীদের জন্য যথেষ্ট নয়। আমরা সিরিয়ার একদিন পর চাঁদ দেখেছি অতএব আমরা আমাদের হিসাব মতে পূর্ণ ৩০ দিন রোজা রেখে যাবো অথবা চাঁদ দেখে রোজা সমাপ্ত করবো।
সহীহ মুসলিম ১/৩৪৮ হাদীস নং ১০৮৭ নাসায়ী ১/৩০০ হাদীস নং ২১১০ আবু দাউদ ১/৩১৯ হাদীস নং ২৩৩২ তিরমিজি ৩/৪১৮ হাদীস নং ৬৯৩
পনেরশত বছর যাবত মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধভাবে এভাবেই রোজা এবং ঈদ উদযাপন করে আসছে। সৌদি আরবের বিন বায, ইবনে উসাইমীন ,সালেহ আল ফাওযান, ইবনে তাইমিয়া এবং হানাফী মাযহাবের শ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদ ইমাম জামাল উদ্দিন যায়লায়ী, আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী, আল্লামা মুফতি তাকি উসমানী সহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম এবং সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক ইফতা বোর্ড এভাবেই ফাতওয়া দিয়েছেন। দেখুন ,ফাতাওয়ায়ে ইসলামিয়া ইবনে উসাইমিন ২/১১৩ ফাতাওয়ায়ে ওলামায়ে বালাদিল হারাম ২৮৫ তাবয়ীনুল হাক্বায়েক্ব ১/৩২১
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনে গত দুই বছর আগে এ বিষয়ে কয়েকমাস ব্যাপী পর্যালোচনা হয়েছে এতে আমিও ছিলাম সেখানে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় কিতাব পত্র এবং বিশ্ববরেণ্য ইমামদের মতামত আলোচনা করে এভাবেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য আমার লেখা বই সারাবিশ্বে একই দিনে রোজা আরম্ভ এবং ঈদ উদযাপন হবে না কেন পড়তে পারেন।
লেখক: ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা ঢাকা
-এটি