আওয়ার ইসলাম: রমজান মাস সিয়াম-সাধনার মাস। রমজান মাস রহমত, বরকত ও মুক্তির মাস। রমজান মাস কুরআন নাজিলের মাস। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনের মাঝে আমাদের রোগমুক্তি ও রহমত নিহিত রেখেছেন। করোনা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই কঠিন সময়ে কোরআন তেলাওয়াত এর বিকল্প নেই। তাই রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে বাংলাদেশের সকল হাফেজী মাদরাসা খোলা রাখার বিকল্প নেই বলে বিবৃতি দিয়েছেন জমিয়ত নেতৃবৃন্দ। আজ শুক্রবার( ৮এপ্রিল) গণমাধ্যমে এ বিবৃতি প্রেরণ করেন তারা।
তারা বলেন, কোমলমতি ও নিষ্পাপ ছেলেদের তেলাওয়াতের বরকতেই আল্লাহর গজব ও আজাব করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অতীত অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে, যখনই মসজিদ- মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হয়েছিল, তখনই করোনা মহামারী কমতে শুরু করেছিল।
বিবৃতিদাতারা হলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী, নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মহাসচিব শায়খুল হাদিস মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম, যুব জমিয়তের সভাপতি মুফতি রেদওয়ানুল বারী সিরাজী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম,ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি সুহাইল আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আল আদনান প্রমুখ এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, কওমি মাদ্রাসা একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা ব্যবস্থা। শত শত বছর যাবত সুনামের সাথে এই শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। তাই জাতির প্রয়োজনীয় স্বার্থেই কওমি মাদরাসা খোলা রাখা দরকার।
নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে কওমি মাদ্রাসা ও হাফিজি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
এমডব্লিউ/