আওয়ার ইসলাম: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, কেউ করোনার টিকা নিয়েছেন তাই আর আক্রান্ত হবেন না এমনটা মনে করলে ভুল করবেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যেকোনো সময় আক্রান্ত হতে পারেন। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বিএসএমএমইউয়ের বেতার ভবনে নতুন করোনা ইউনিটের উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকি থাকে। আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে উঠলেও দীর্ঘকালীন জয়েন্ট পেইন, স্মৃতিভ্রম ও হার্ট অ্যাটাকসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হয়। সুতরাং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ লিখিত বক্তব্যে জানান, করোনা মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ড বিদ্যমান রয়েছে। এ ভাইরাসে প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর রোগীদের সুবিধার্থে গত বছরের মার্চে মেডিসিন, সার্জারি, বক্ষব্যাধিসহ বিভিন্ন বিভাগে হেল্প লাইন চালু করা হয়।
২১ মার্চ জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশির রোগীদের জন্য বেতার ভবনে পৃথক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা হিসেবে ফিভার ক্লিনিক চালু করে বিএসএমএমইউ। চলতি বছরের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফিভার ক্লিনিকে ৮৮ হাজার ৩শ’ ৯২ জন সেবা নেন। গত বছরের ১ এপ্রিল করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাবরেটরি চালু হয়। আর ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এক লাখ ২৮ হাজার ৫শ’ ৮৭ জন রোগীর টেস্ট করা হয়।
গত বছরের ৫ এপ্রিল বিএসএমএমইউতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ সেবা কেন্দ্র বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন চালু করা হয়। একই বছরের ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকে করোনা সেন্টার চালু করা হয়।
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত ৭ হাজার ৫শ’ ৪৬ জন করোনা রোগী সেবা নিয়েছেন বিএসএমএমইউ থেকে। আর ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৪শ’ ১৯ জন। ডিসচার্জড হয়েছেন ৩ হাজার ৬ শত ৪৪ জন।
বর্তমানে বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন এবং কেবিন ব্লকে ভর্তি আছেন ১৯৬ জন। এছাড়া চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে করোনা ১৯ টিকাদান কর্মসূচির সূচনা হয়। ৭ এপ্রিল পর্যন্ত টিকা নেন ৫২ হাজার জন। সবশেষ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা শুরু হয়ে বিএসএমএমইউতে।
এমডব্লিউ/