আওয়ার ইসলাম: আফগানিস্তানের রাজনৈতিক দল হিজবই ইসলামির নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার বলেছেন, আফগান শান্তি আলোচনা আয়োজনের জন্য তুরস্কই সেরা বিকল্প, কারণ দেশটি সক্ষম এবং নিরপেক্ষ।
আনাদুলু এজেন্সিকে হেকমতিয়ার বলেন, তুর্কি এবং আফগান জনগণের মধ্যে গভীর-শিকড়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং দুই জাতির অনেক অভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
কাতারের দোহা থেকে একটি ইউরোপীয় দেশে শান্তি আলোচনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টার পরও হেকমতিয়ার বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্কের সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাব মাথায় নিয়ে আলোচনা আয়োজনের জন্য ইস্তাম্বুলকে সেরা বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করেন তারা।
কয়েকটি ইউরোপীয় দেশকে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সেখানে শান্তি আলোচনা আয়োজন করা যথাযথ হবে না।
আফগানিস্তান অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে উল্লেখ করে হেকমতিয়ার বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে সঙ্ঘাতের অবসান ঘটাতে অত্যন্ত সংবেদনশীল সময়ে ইস্তাম্বুলে সম্মেলন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোতে তুরস্কের মধ্যস্থতার সক্ষমতা প্রশংসিত হচ্ছে। লেবাননের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ফুয়াদ সিনিওরা বুধবার বলেছেন, পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে আরব অঞ্চলে, বিশেষত সিরিয়া এবং লিবিয়ায়, তুরস্ক মধ্যস্থতার ভূমিকা নেবে বলে প্রত্যাশা করে এ অঞ্চলের দেশগুলো।
২০০৫ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সিনিওরা আঙ্কারাভিত্তিক মিডলইস্ট রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত ‘মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা ও শান্তির সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক অনলাইন প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন, তুরস্ক এবং আরব বিশ্ব পারস্পরিক স্বার্থ এবং অভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক শিকড়ের মাধ্যমে সংযুক্ত।
তার ভাষ্য, ‘আরব অঞ্চল আশা করে, তুরস্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বিশেষত সিরিয়া এবং লিবিয়ায় ইতিবাচক এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে। এ অঞ্চলে সত্যিকারের একটি নতুন পলিসি শুরু করতে তুরস্কের আন্তরিক প্রচেষ্টা জরুরি।
-এটি