আওয়ার ইসলাম: পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে আরব অঞ্চলে, বিশেষত সিরিয়া এবং লিবিয়ায়, তুরস্ক গঠনমূলক ভূমিকা নেবে বলে প্রত্যাশা করে এ অঞ্চলের দেশগুলো। লেবাননের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ফুয়াদ সিনিওরা বুধবার এমন মন্তব্য করেন।
২০০৫ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সিনিওরা আঙ্কারাভিত্তিক মিডলইস্ট রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত ‘মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা ও শান্তির সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক অনলাইন প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন। আলোচনার মডারেটর ছিলেন সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আহমেদ ইউসাল।
বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্বাসের ঘাটতিজনিত ব্যাধি’ দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে সিনিওরা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান সমস্যাগুলি তুলে ধরে বলেন, এখন আন্তর্জাতিক প্রস্তাবগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে এবং দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় ভঙ্গুর।
বহুপাক্ষিকতাবাদ এখন ‘হুমকির মুখে’ উল্লেখ করে প্রাক্তন লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উচিত একটি নিয়মতান্ত্রিক শৃঙ্খলার প্রতি দায়বদ্ধ থাকা।
সিনিওরা বলেন, কিছু আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তি আরব দেশগুলোকে সহযোগিতা করার পরিবর্তে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করার কারণে এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। ইরান এবং ইসরাইলের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক শক্তিগুলো তাদের আগ্রাসন কিংবা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে উসকে দিচ্ছে।
তিনি ইরানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, দেশটি ইরাক, সিরিয়া, লেবানন এবং ইয়েমেনে প্রক্সিযুদ্ধ এবং প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, তুরস্ক এবং আরব বিশ্ব পারস্পরিক স্বার্থ এবং অভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক শিকড়ের মাধ্যমে সংযুক্ত।
তিনি বলেন, ‘আরব অঞ্চল আশা করে, তুরস্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বিশেষত সিরিয়া এবং লিবিয়ায় ইতিবাচক এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে। এ অঞ্চলে সত্যিকারের একটি নতুন পলিসি শুরু করতে তুরস্কের আন্তরিক প্রচেষ্টা জরুরি।
সিনিওরা বলেন, তুরস্কের নতুন নীতির প্রথমে থাকবে আরব বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে, ইরানিদের সঙ্গে মধ্যস্থতার চেষ্টা করা এবং তাদের মধ্যে গঠনমূলক মনোভাব তৈরির উদ্দেশ্যে তাদের বোঝানো। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইরানের বর্তমান নীতি লক্ষ্যহীনভাবে এগোচ্ছে, কিন্তু তা পরস্পরকে ধ্বংস করে দেবে।
-এটি