আওয়ার ইসলাম: ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক নিরীহ গাড়িচালক। এসময় সঙ্গে থাকা তার স্ত্রীও গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ওই ব্যক্তি গাড়ি দিয়ে তাদের চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। একারণে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। তবে নিহত ফিলিস্তিনির স্ত্রী দখলদার বাহিনীর এই দাবি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া, এ ঘটনায় কোনও ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন বলে জানা যায়নি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম ওসামা মনসুর, বয়স ৪২ বছর।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী সুমাইয়া মনসুর (৩৫) বলেন, ওরা (ইসরায়েলি বাহিনী) গাড়ি থামাতে বললে আমরা গাড়ি দাঁড় করিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেই। এরপর তারা আমাদের দেখে এবং চলে যেতে বলে। আমরা গাড়ি চালু করে এগোতেই ওরা সবাই গুলি চালাতে শুরু করে।
ফিলিস্তিনি এ নারীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলি বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, গাড়িহামলা চেষ্টার ঘটনায় বিনইয়ামিন রিজিওনাল ব্রিগেডের কমান্ডার তদন্ত করছেন।
তবে স্থানীয় মেয়র সালেম ঈদ বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর গাড়িহামলা চেষ্টার দাবি পুরোপুরি মিথ্যা। কারণ, ওই ব্যক্তি পাঁচ সন্তানের বাবা এবং ঘটনার সময় তার স্ত্রীও গাড়ির ভেতর ছিলেন।
মেয়র জানান, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ চাইলে এই ঘটনা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তুলতে পারে। আন্তর্জাতিক আদালতের প্রসিকিউটর গত মাসেই ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধপরাধ তদন্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবারের এই ঘটনাকে ‘উন্মুক্ত হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছে।
এনটি