আওয়ার ইসলাম: তুরস্কের সাবেক অ্যাডমিরালদের সাম্প্রতিক খোলা চিঠি ‘রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের’ আভাস বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। শনিবার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সমালোচনা করে একটি চিঠিতে সই করেন ১০৪ জন সাবেক অ্যাডমিরাল।
তারা বলেন, ইস্তানবুলে এরদোগানের নতুন খাল খনন প্রকল্প ৮৫ বছরের পুরনো মনট্রিক্স নৌচুক্তিকে ঝুঁকিতে ফেলে দেবে। সরকার তুরস্কের ইতিহাসকে সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছে। তবে ওই চুক্তির প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকার কথাও জানিয়েছেন এরদোগান। দোহাভিত্তিক আলজাজিরা এমন খবর দিয়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু বলছে, এই খোলা চিঠির ঘটনায় তদন্ত করা হবে। এছাড়াও এতে আরও চার সন্দেহভাজনকে আগামী তিন দিনের মধ্যে আঙ্কারার পুলিশের কাছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
সোমবার এরদোগান বলেন, ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা সাবেক অ্যাডমিরালদের কাজ না। তাদের এই খোলা চিঠি রাজনৈতিক অভ্যুত্থানেরই আভাস দিচ্ছে। তিনি বলেন, যে দেশের ইতিহাসের পুরোটাই অভ্যুত্থান আর বিবৃতিতে ভরা, সেই দেশে মধ্যরাতে ১০৪ সাবেক জেনারেলের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
গত মাসে ২৮ মাইল দীর্ঘ নতুন জাহাজ লেনের অনুমোদন দিয়েছে তুরস্ক, যা কৃষ্ণ সাগরকে ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এ প্রকল্পকে পানামা ও সুয়েজ খালের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। কিন্তু মন্ট্রিক্স কনভেনশনে তুরস্কের অঙ্গীকারকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।
এরদোগানের মতে, মন্ট্রিক্স কনভেনশনের সঙ্গে এই প্রকল্পের সংযোগ খোঁজা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ এই চুক্তি থেকে সরে আসার কোনো কারণ আমাদের নেই।
এরদোগানের অফিসের দাবি, তুরস্কের অতীতের অভ্যুত্থানের সময়কে মনে করিয়ে দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৪ সন্দেহভাজন অ্যাডমিরাল এই খোলা চিঠির আয়োজন করেছেন। এরপর দেশের সাবেক শীর্ষ নৌ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে কৌঁসুলিরা।
এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কলিন বলেন, এসব অ্যাডমিরালদের জানা উচিত যে, আমাদের জাতি ও তার প্রতিনিধিরা কখনো এ ধরনের মানসিকতাকে আশ্রয় দেবে না। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমাদের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতেই এই চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।
এমডব্লিউ/