আওয়ার ইসলাম: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় সবশেষ ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর আজ সোমবার দুপুরে উদ্ধারকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, সব লাশ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ সাবিত আল হাসান প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। পথে কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে প্রিমিয়ার সিমেন্ট সংলগ্ন নদীতে এসকে-৩ কোস্টার জাহাজের আঘাতে সোয়া ৬টার দিকে ডুবে যায় লঞ্চটি। খবর পেয়ে বিআইডব্লিউটিএসহ অন্যান্য সংস্থা উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে ২০ জন যাত্রী জীবিত উদ্ধার করে।
এরপর আজ সকাল থেকে ৩৩ জন নিখোঁজের অভিযোগে তালিকা করা হয়। এই তালিকা থেকে মোট ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
এ দিকে লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে খুব ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় খোলা জায়গায় নিয়ে আসে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠিক পজিশনে নিয়ে উত্তোলন করা হয়। মোট ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’
গতকাল রাত থেকে উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। উদ্ধার কাজে অংশ নেয় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
-এটি