আওয়ার ইসলাম: করোনার বিস্তার এড়াতে দেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। অফিস ও শিল্পকারখানা খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছে মানুষ। রিকশা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশাই একমাত্র ভরসা।
সোমবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড় এবং বাস স্টপেজে অফিসগামী মানুষকে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
বাস না থাকলেও সড়কে ছিল প্রাইভেটকার, সিএনজি, রিকশার দাপট। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব গাড়িও চলতে দেখা গেছে। এমনকি গুলশান এলাকায় সরকারি বিআরটিসির বাস চলতেও দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ। তবে খাবার হোটেল খুলতে দেখা গেছে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অনেককে হোটেলে বসে খেতেও দেখা গেছে। সকাল ৮টা থেকে বসেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও কাঁচাপণ্যের বাজার।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের উচ্চমাত্রার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় ‘লকডাউন’ বিষয়টি উল্লেখ না করে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত চলাচল ও কাজে এসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সূত্র বলছে, পরিস্থিতি বুঝে ‘লকডাউনের’ সময় বাড়ানো হবে। আর এটাকে লকডাউন বলা হয়নি যেন আতঙ্ক না ছড়িয়ে পড়ে। সরকার কৌশলগত কারণে এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
এনটি