আওয়ার ইসলাম: বাগেরহাটের শরণখোলায় ভাইকে ফাঁসাতে চার মাস বয়সী শিশু নুপুর আক্তারকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। রোববার সন্ধ্যায় শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তাফালবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শিশু নুপুরের বাবা আব্দুল মজিদ মোল্লাকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে।
এ ঘটনায় নুপুরের মা মারুফা আক্তার বাদী হয়ে স্বামী আব্দুল মজিদ মোল্লার বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সোমবার বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে শিশুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
জমির বিরোধে বড় ভাইকে ফাঁসাতে আব্দুল মজিদ নিজের সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে বলে পুলিশ দাবি করে।
মামলার এজাহারের বরাতে শরণখোলা থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, রোববার সন্ধ্যায় শিশু নুপুরের মা নুপুরকে তার বাবার কাছে রেখে পাশের বাজারে কেনাকাটা করতে যায়। এ সুযোগে বাবা আব্দুল মজিদ তার চার মাস বয়সী শিশু সন্তানকে পানিতে ফেলে দেন। কিছুক্ষণ পর মা বাড়ি ফিরে তার সন্তানকে না দেখতে পেয়ে স্বামীর কাছে জানতে চাইলে তিনি চুপ করে থাকেন। এতে তার সন্দেহ হয়। তিনি সন্তানের জন্য কান্না শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মজিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তিনি আরো বলেন, এক পর্যায়ে মজিদ সন্তানকে পুকুরে ফেলে দিয়েছে বলে স্বীকার করে। স্থানীয়রা পুকুরে নেমে তল্লাশী চালিয়ে শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আব্দুল মজিদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। আব্দুল মজিদের বড় ভাই আব্দুর রশিদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজিদ জমির বিরোধের জেরে বড় ভাইকে ফাঁসাতে নিজের সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। সোমবার শিশু নুপুরের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় নুপুরের মা মারুফা আক্তার বাদী হয়ে স্বামী আব্দুল মজিদ মোল্লার বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আব্দুল মজিদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এনটি